শিরোনাম
◈ চট্টগ্রামে জুতার কারখানায় আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৮ ইউনিট ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী

প্রকাশিত : ১৭ জুন, ২০২০, ০৬:৪৩ সকাল
আপডেট : ১৭ জুন, ২০২০, ০৬:৪৩ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ব্যবসার আড়ালে বানানো হয় ছিনতাই গ্রুপ

ডেস্ক রিপোর্ট:  স্টার সুইটসের মালিক সাগর মাহমুদ। ব্যবসায়ী হিসেবেই তাকে চেনেন পরিচিতরা। তবে এটাই তার একমাত্র কাজ নয়, ব্যবসার আড়ালে গড়ে তোলেন দুর্ধর্ষ ছিনতাইকারী চক্র। বিভিন্ন বড় বড় প্রতিষ্ঠানে প্রথমে একজনকে চাকরি দেওয়া হয়। কয়েক মাস কাজের ফাঁকে যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ করাই ওই সদস্যের দায়িত্ব। এর পর সুযোগ বুঝে ছিনিয়ে নেওয়া হতো মোটা অঙ্কের টাকা। চক্রটি সর্বশেষ গাজীপুরের একটি গার্মেন্টসের ৮০ লাখ টাকা ছিনতাই করে। এ ঘটনায় গত রবিবার রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায়

অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। তারা হলো মো. রিয়াজ, সাগর মাহমুদ, মো. জলিল, ইসমাইল হোসেন মামুন ও মনোরঞ্জন মন্ডল বাবু।

তদন্তসংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সাগর মাহমুদের গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালীতে। সেখানে স্টার সুইটস নামে একটি মিষ্টির দোকান রয়েছে তার। সবাই তাকে ব্যবসায়ী হিসেবেই চিনতেন। তবে তিনি বেশিরভাগ সময় থাকতেন ঢাকায়। পরিচালনা করতেন ছিনতাই কার্যক্রম। তার বিলাসবহুল জীবন নিয়েও প্রশ্ন ছিল স্থানীয়দের মনে। এ চক্রের টার্গেট থাকত মোটা অঙ্কের টাকা ছিনতাইয়ের।

সূত্র জানায়, মনোরঞ্জন ম-ল বাবুকে ইনক্রেডিবল ফ্যাশন্স লিমিটেডে চাকরির ব্যবস্থা করে দেন প্রতিষ্ঠানটির সাব কন্ট্রাক্টর ওসমান নামে এক ঠিকাদার। মনোরঞ্জন চাকরির ছলে সেখানকার লেনদেনের খুঁটিনাটি তথ্য জোগাড় করে চক্রের কাছে সরবরাহ করত। ওসমানসহ আরও অনেককে সন্দেহের তালিকায় রেখে তদন্ত কার্যক্রম এগিয়ে চলছে। তবে এ বিষয়ে ঠিকাদার ওসমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে আমাদের সময়কে বলেন, ‘আজম নামে আরেকজন ঠিকাদার মনোরঞ্জনকে চাকরির বিষয়ে নিশ্চয়তা দেয়। আমি ওই গার্মেন্টেসের সঙ্গে ব্যবসা করি অনেক আগে থেকে। মনোরঞ্জনকে প্রথম দেখাতেই আমার ভালো লাগেনি। আজমকে আমি এটা বলেছিলাম।’ তবে ওসমান ঠিকাদার আজমের যে মোবাইল নম্বর দেন, তাতে দুদিন চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। নম্বরটি বন্ধ পাওয়া গেছে সারাক্ষণ।

এদিকে গুলি করে টাকা ছিনতাইয়ের সময় গার্মেন্টসের এক কর্মকর্তার পাশাপাশি ছিনতাইকারী দলের সদস্য জলিলেরও গুলি লাগে। গুলিবিদ্ধ জলিল রাজধানীর মহাখালীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়। তবে পুলিশি কেস হওয়ায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে মোটা অঙ্কের টাকা ঘুষ দেয় সে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লে. কর্নেল সারোয়ার বিন কাশেম আমাদের সময়কে বলেন, ‘ছিনতাইকারী এ চক্রে অন্য আর কারা জড়িত সেটি আমরা খতিয়ে দেখছি। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।’

গাজীপুরের কালিয়াকৈরের ইনক্রেডিবল ফ্যাশন্স লিমিটেডের শ্রমিকদের বেতনের ৮০ লাখ ২০ হাজার টাকা গত ৭ জুন ব্যাংক থেকে কারাখানায় নেওয়ার পথে গুলি করে ছিনিয়ে নেয় ছিনতাইকারী চক্র।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়