ডেস্ক রিপোর্ট : [২] করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় ডেক্সামেথাসনকে সবচেয়ে কার্যকরী ওষুধ হিসেবে দাবি করেছে ব্রিটেনের একদল গবেষক। আর করোনা চিকিৎসায় এই ওষুধটি ব্যবহৃত হচ্ছে বাংলাদেশেও।
[৩] করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় বাংলাদেশে প্রণীত জাতীয় নির্দেশিকায় ডেক্সামেথাসন প্রয়োগের কথা বলা আছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসায় ডেক্সামেথাসন ব্যবহার করা হচ্ছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এ ওষুধটি ব্যবহার করার ফলে ফলও ভালো পাওয়া যাচ্ছে।
[৪] ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি আজ মঙ্গলবার তাদের এক প্রতিবেদনে জানায়, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক হাসপাতালে ভর্তি হওয়া প্রায় দুই হাজার করোনা রোগীর শরীরে ডেক্সামেথাসন ওষুধটির পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করেছিলেন। এর প্রাপ্ত ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ভেন্টিলেশনে থাকা রোগীদের ক্ষেত্রে এই ওষুধ মৃত্যুঝুঁকি ৪০ থেকে ২৮ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়ে এনেছে। আর যাদের অক্সিজেন নেওয়া দরকার, সেসব রোগীর মৃত্যুঝুঁকি ২৫ থেকে ২০ শতাংশ পর্যন্ত কমেছে। অক্সফোর্ডের গবেষকরা, করোনা আক্রান্ত যেসব রোগীর ভেন্টিলেশন ও অক্সিজেনের প্রয়োজন হয়, তাদের চিকিৎসায় ওষুধটি ব্যবহারের কথা বলেছেন।
[৫] বাংলাদেশ মেডিসিন সোসাইটির মহাসচিব ও ঢাকা মেডিকেল কলেজের অধ্যাপক আহমেদুল কবীর জানান, বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসায় অনেক দিন ধরে ডেক্সামেথাসন ব্যবহৃত হচ্ছে। করোনাভাইরাস চিকিৎসায় যে নির্দেশিকা প্রণয়ন করা হয়েছে, সেখানে ডেক্সামেথাসন গোত্রভুক্ত ওষুধ ওরাডেক্সন ও মিথাইল প্রেডনিসোলোন ব্যবহার হচ্ছে। এতে ভালো ফলও পাওয়া গেছে।
[৬] ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওষুধ প্রযুক্তি বিভাগের চেয়ারম্যান সীতেশ চন্দ্র বাছার বলেন, ‘ওষুধটি বাংলাদেশে সুলভ মূল্যে বড় ওষুধ উৎপাদনকারী প্রায় প্রতিটি প্রতিষ্ঠানই বহু বছর তৈরি করছে।’
[৭] বাংলাদেশে ডেক্সামেথাসন স্বল্পমূল্যেই পাওয়া যায়। দেশে ডেক্সামেথাসন মুখে খাওয়ার প্রতিটি ওষুধের দাম সর্বনিম্ন ৬০ পয়সা থেকে ১ টাকা ১৫ পয়সা পর্যন্ত। আর ইনজেকশনের দাম সর্বনিম্ন ১৫ থেকে ৩০ টাকা করে প্রতিটি।আমাদের সময়, প্রিয়ডটকম
আপনার মতামত লিখুন :