শিরোনাম
◈ ৯৫ বিলিয়ন ডলারের সহায়তা বিলে জো বাইডেনের সাক্ষর  ◈ বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর ◈ বাংলাদেশ ব্রাজিল থেকে ইথানল নিতে পারে, যা তেলের চেয়ে অনেক সস্তা: রাষ্ট্রদূত ◈ মিয়ানমার সেনাসহ ২৮৮ জনকে ফেরত পাঠালো বিজিবি ◈ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় বিএনপির ৬৪ নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ ◈ বর্ধিত ভাড়ায় ট্রেনের আগাম টিকিট বিক্রি শুরু ◈ মন্ত্রী ও এমপিদের নিকটাত্মীয়রা প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করলে সময়মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে: ওবায়দুল কাদের  ◈ লোডশেডিং ১০০০ মেগাওয়াট ছাড়িয়েছে, চাপ পড়ছে গ্রামে ◈ বাংলাদেশে কাতারের বিনিয়োগ সম্প্রসারণের বিপুল সম্ভাবনা দেখছেন ব্যবসায়ীরা  ◈ হিট স্ট্রোকে রাজধানীতে রিকশা চালকের মৃত্যু

প্রকাশিত : ১৭ জুন, ২০২০, ০৩:২১ রাত
আপডেট : ১৭ জুন, ২০২০, ০৩:২১ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] কোভিড-১৯ মহামারিতে পার্লার বন্ধ থাকলেও দেশের অর্থনৈতিক চাকা ঘুরিয়ে দিচ্ছে আদিবাসী তরুণীরা : সুরিত বনোয়ারী

শাহীন খন্দকার : [২] টাঙ্গাইল জেলার মধুপুরের নৃতাত্বিক জনগোষ্ঠীর তরুণীরা জীবনজিবীকার প্রয়োজনে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন বিভাগীয় শহরসহ জেলাশহরে বিউটি পার্লারে রুপশ্রী পেশাকে বেছেনেয়। উর্পাজন ও ভালো নিজেদের আর্থিক চাহিদা মিটিয়ে তারা পরিবারের প্রতিও দায়িত্ব পালন করে আসছিলো। কিন্তু কোভিড-১৯ মহামারীতে কর্মহীন হয়ে এখন তারা মানবেতর জীবন-যাপন করছেন বিউটি র্পালার বন্ধ থাকায়। এদের সাহায্য সহযোগীতায় সরকারি- বেসরকারি কোন সংস্থ্যা এগিয়ে আসেন নাই ।

[৩] কোভিড-১৯ সংক্রমণের কারণে দেশের সকল পার্লার বন্ধ হয়ে যাওয়াতে নিজনিজ বাড়িতে ফিরেগেছে এসব তরুণীরা। ফলে জীবনের তাগিদে দিনমুজুরীর কাজে নিজেদের নিয়োজিত করেছেন। সত্যি নৃতাত্বিক গারো সমাজের তরুণীরা সকল কাজেই পারদর্শী যেমন ফসলের মাঠে তেমনি গানে নৃত্যে, অফিস আদালতে এমনকি হাতের ছোয়ায় নারীকে অপরুপরুপে সাজিয়ে তুলেন! আজ কোভিড-১৯ মহামারিতে গ্রামে ফিরে তারা গ্রামীণ অর্থনীতিতেও বিশাল ভূমিকা রাখছেন।

[৪] গারোরা মাতৃ-তান্ত্রিক সমাজ । মা-ই সমাজের প্রধান তাই উর্পাজনের কথা সংসারের সকল চাহিদা নারীরাই সেই আদি থেকে মিটিয়ে আসছে ! যার জন্যে কৃষিকাজ থেকে সংসারের সকল কাজ নারীরাই করে থাকেন। আর পুরুষেরা বাড়িতেই থাকেন ! যদিও কালের বিবর্তনে অনেক পরিবর্তনও এসেছে গারো আদিবাসি সমাজে পুরুষেরাও এখন চাকুরী করে এবং স্ত্রী সন্তানের দায়িত্ব নিয়ে সংসার চালাচ্ছেন।

[৫] টাঙ্গাইলের মধুপুর একসময় অরণ্যে আবৃত্ব ছিলো। এখন সেই অরণ্য নেই ,তবে যতোদুর চোখ যাবে আনারস,কলা,হলুদের বাগান। তেমনি কলাবাগানের সবুজ শিতল চুনিয়া গ্রাম। এই গ্রামের অন্যের জমিতে শ্রম বিক্রি করা ঢেমি হাগিদগ, পৃথিলা মান্দা, নির্মলা রোংদী এরা সবাই পেশায় বিউটিশিয়ান হলেও করোনাকালীন সময়ে কৃষকের শ্রমিক এখন ! সোনার হাতে সোনার ফসল ফলাচ্ছেন । সমাজে পিছিয়ে থাকা প্রান্তিক জনগোষ্ঠী। এই দুর্যোগমহামারিতে অন্যের করুণা না নিয়ে ঈশ্বরের দেয়া দুহাত-ই এখন আহার যুগিয়ে দিচ্ছে বলে জানালেন, নির্মলা রোংদী।

[৬] এই পেশা তাদের অন্ধকার থেকে অর্থনৈতিক মুক্তি ও স্বাচ্ছন্দ্যময় জীবনের স্বপ্ন যেমন দেখাতো তেমনি এর প্রভাবে চাঙ্গা থাকতো গ্রামীণ অর্থনীতিও। তবে করোনাকাল তাদের সেই স্বাচ্ছন্দ্যময় জীবনের স্বপ্নে ছন্দঘটাতে পারেনি। পেশা বন্ধ থাকায় জীবন বাঁচিয়ে রাখার প্রয়োজনে যে হাতে নারীর সৌন্দর্য্য শ্রীবৃদ্ধি করতেন, সেই হাতে দেশের অর্থনীতির চাকা ঘুরিয়ে দিচ্ছে!

[৭] আদিবাসী নেতা সুরিত বনোয়ারী জানান, কোভিড-১৯ মহামারিতে র্পালার বন্ধ থাকায় শহর থেকে (আভিরা) অর্থাৎ বোনেরা কৃষিকাজ করে একদিকে নিজেদের সংসার চালাচ্ছে অন্য দিকে অর্থণীতির চাকাও ঘুরিয়ে দিচ্ছে কলা-হুলুদ চাষে কৃষকের । এই নেতা আরো জানালেন, শুনেছি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মধুপুর আরিফা জহুরা আশ্বাস দিয়েছেন, নৃ-তাত্বিক জনগোষ্ঠির ভেতর পার্লারে কর্মরত কর্মহীনদের তালিকা প্রণয়নের কাজ চলছে। সেড এনজিও বেসরকারী উন্নয়ন সোসাইটি ফর এনভায়রনমেন্ট এন্ড হিউমেন ডেভেলপমেন্টের ২০১৮ইং এক জরিপে দেখা যায় মধুপুর উপজেলায় বিভিন্ন গ্রামের ১৭ হাজার ৩শ ২৭ জন গারো সম্প্রদায়ের ১১শ ৩১ জন তরুণী দেশের বিভিন্ন পার্লারে কর্মরত মোট জনসংখ্যা ৬.৮% তথ্যে জানা যায়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়