শিরোনাম
◈ ফরিদপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে একই পরিবারের পাঁচজন ◈ স্থায়ী জামিন না পাওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়েছি ড. ইউনূসের আইনজীবী ◈ উপজেলার ভোটে এমপি-মন্ত্রীদের হস্তক্ষেপ না করতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ : ওবায়দুল কাদের  ◈ শ্রম আইন লঙ্ঘন: ড. ইউনূসসহ ৪ জনের জামিন ২৩ মে পর্যন্ত বৃদ্ধি ◈ ময়মনসিংহে দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২, আহত ২৬ ◈ ফরিদপুরে বাস-পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত বেড়ে ১৩  ◈ ইরানের হামলার জবাব দেবে ইসরায়েল: সেনাপ্রধান ◈ সৌদিতে কোরবানি ঈদের সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা ◈ স্বাস্থ্যখাতে নতুন অশনি সংকেত অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স: স্বাস্থ্যমন্ত্রী  ◈ কৃষি খাতে ১০ শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যে তিন  বছরে সাড়ে ৩৮ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ

প্রকাশিত : ১৭ জুন, ২০২০, ০১:০৯ রাত
আপডেট : ১৭ জুন, ২০২০, ০১:০৯ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] নিম্ন মানের সেবা দেয়া ও ডাক্তার না থাকায় মালিকের অর্থদণ্ড, ভুয়া চিকিৎসকের কারাদণ্ড

সুজন কৈরী : [২] রাজধানীর শ্যামলীর সেবিকা হাসপাতালে অভিযান চালিয়েছে র‌্যাবের ভ্রাম্যামণ আদালত। এসময় হাসপাতালের পরিচালক ও ওটি ইনচার্জ, ভুয়া ডাক্তারসহ হাসপাতালের মালিক ও ম্যানেজারকে ৮ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

[৩] এছাড়া, অভিযানকালে পঙ্গু হাসপাতালের দালাল চক্রের ৬ সদস্যকে আটকের পর বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন র‌্যাবের ভ্যাম্যমাণ আদালত।

[৪] সোমবার রাত ১১টা থেকে শুরু করে গভীর রাত পর্যন্ত র‌্যাব-২ এর কোম্পানী কমান্ডার পুলিশ সুপার মুহম্মদ মহিউদ্দিন ফারুকীর নেতৃত্বে পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু তাদের জেল-জরিমানা করেন।

[৫] মুহম্মদ মহিউদ্দিন ফারুকী জানান, সেবিকা হাসপাতালে অভিযানকালে ভুয়া চিকিৎসক সাইফুল ইসলামকে আটক করা হয়। পরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাকে ১ বছরের কারাদণ্ড ও ২ লাখ টাকা জরিমানা, নিম্ন মানের সেবা দেয়াসহ নিয়মিত ডাক্তার না থাকায় হাসপাতালের মালিক এম এম শাখাওয়াত হোসেনকে ৪ লাখ টাকা এবং ম্যানেজার মহিবুল্লাহকে ২ লাখ টাকা জরিমানা করেন।

[৬] তিনি বলেন, পঙ্গু হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে দালাল চক্রের ৬ সদস্যকে আটক করা হয়। তারা হলেন- রেজাউল করিম (৩০), মানিক মিয়া (৩৮), বিল্লাল হোসেন (৫০), কল্পনা আক্তার (৪০), মর্জিনা বেগম (৩৫) ও আজিরন বেগম (৪২)। পরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাদের প্রত্যেককে ৬ মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন।

[৭] অভিযানকালে জানা যায়, দালাল চক্রের প্রায় ৫০০ সদস্য পঙ্গু হাসপাতাল, জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউট, শিশু হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালগুলো ঘিরে দালালি করে থাকে। তারা হাসপাতালের ডাক্তার, নার্স, এ্যাম্বুলেন্সসহ প্রত্যেক স্তরে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করছে।

[৮] দালাল চক্রের সদস্যরা পঙ্গু হাসপাতালের আশেপাশে অবস্থান নিয়ে পঙ্গু হাসপাতালে কোনো চিকিৎসা হয়না, ডাক্তার থাকেনা, ভর্তি হওয়া রোগী করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার কথা বলে রোগীদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি করতো। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে চিকিৎসার জন্য আসা রোগীদের ভয় দেখিয়ে তাদের ভাগিয়ে উন্নত চিকিৎসার আশ্বাসে নাম সর্বস্বহীন বেসরকারী হাসপাতালে ভর্তি করে ভুয়া ডাক্তার দিয়ে অপারেশন করাতো। এতে কোনো রোগী চিরতরে পঙ্গু হয়ে যেত।

[৯] হাসপাতাল কেন্দ্রিক ভুয়া ডাক্তার ও দালাল চক্রের সদস্যদের বিরুদ্ধে র‌্যাবের অভিযান চলবে বলে জানিয়েছেন র‌্যাব কর্মকর্তা মহিউদ্দিন ফারুকী। সম্পাদনা : রায়হান রাজীব

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়