এএইচ রাফি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া : [২] মঙ্গলবার দুপুরের দিকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের ব্রাহ্মণবাড়িয়া কার্যালয়ে অভিযোগের প্রেক্ষিতে শুনানি শেষে এই জরিমানার টাকার ২৫শতাংশ হারে দুইজন অভিযোগকারির হাতে তুলে দেওয়া হয়।
[৩] অভিযোগকারির একজন আলাউদ্দিন অপি জানান,
গত মে মাসের ২০তারিখে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের পুরাতন জেলরোড এলাকায় অবস্থিত সন্ধানী সার্জিক্যাল এন্ড অর্থোকেয়ার সেন্টার হতে এসিআই কোম্পানির ফ্যামিলি সাইজ ১০০০ মিঃলিন স্যাভলন ২টি ক্রয় করি দোকানদার আমার নিকট হতে দুইটির দাম রাখে ১০০০টাকা। প্রতিটির মূল্য ৫০০ টাকা করে। অথচ প্রতিটির গায়ের মূল্য ২২০টাকা করে দুটির প্রকৃত মূল্য হয় ৪৪০ টাকা। দুইটি পণ্যে দোকানদার আমার থেকে ৫৬০ টাকা বেশি রাখে।
[৪] তিনি বলেন, আমি প্রতিবাদ করলে আমাকে বলে ইচ্ছে হলে আপনি এই মূল্য দিয়ে নেন, না হলে চলে যান। বাধ্য হয়ে আমি অধিক মূল্য দিয়ে আমার প্রয়োজনে ক্রয় করি এবং দোকানদার হতে ক্যাশ মেমো গ্রহণ করি। এই ঘটনায় আমি জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ব্রাহ্মণবাড়িয়া শাখায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করি।
[৫] জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ব্রাহ্মণবাড়িয়া শাখার সহকারী পরিচালক মেহেদী হাসান জানান, এই দোকানে একই ধরনের পণ্যে অতিরিক্ত মূল্য নেওয়া দুইজন অভিযোগ দায়ের করেন।
[৬] অভিযোগের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার শুনানি হয়। শুনানিতে দোকান কর্তৃপক্ষ লিখিতভাবে নিজেদের দোষ স্বীকার করে এবং ভবিষ্যতে এরকম হবে না মর্মে অঙ্গীকার করে।
[৭] এরই প্রেক্ষিতে দোকানদারকে দুইটি অভিযোগের জন্য সাড়ে ৬হাজার টাকা করে ১৩হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের এর নিয়ম মোতাবেক জরিমানা টাকার ২৫শতাংশ করে অভিযোগকারীদেরকে ক্ষতিপূরণ বাবদ প্রদান করা হয়। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ
আপনার মতামত লিখুন :