আক্তারুজ্জামান : করোনায় হয়তো পাল্টে দিচ্ছে ইউরোপীয় ফুটবলের নিয়মও। ইউরোপের শ্রেষ্ঠ ক্লাবের লড়াই উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ দুর্দান্ত আমেজ আনে ফুটবল ভক্তদের মনে। দীর্ঘ সময় ধরে চলা এ টুর্নামেন্ট এবার করোনায় আটকে গেছে। তবে জট ছাড়াতে দ্রুততার সাথে টুর্নামেন্ট শেষ করার পরিকল্পনা করেছে ইউরোপীয় ফুটবল ফেডারেশন উয়েফা।
[৩] যদিও করোনা হামলা দেয়ার আগে প্রথম রাউন্ড এবং শেষ ষোলোর ১২টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছিলো। এখন শেষ ষোলোর দ্বিতীয় লেগের চারটি, কোয়ার্টার ফাইনালের ৪টি, ২টি সেমিফাইনাল এবং ফাইনাল ম্যাচ বাকি আছে।
[৪] ঐতিহ্য ভেঙে কোয়ার্টার ও সেমিফাইনালে এবার দুই লেগের খেলা বাতিল করা হচ্ছে। স্ইে সঙ্গে বাকি ম্যাচগুলো একটিমাত্র ভেন্যুতেই খেলানোর প্রস্তাব উঠেছে। যাতে টুর্নামেন্ট শেষ হবে মাত্র ১২ দিনে।
[৫] শেষ ষোলো থেকে ইতোমধ্যে কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছে গেছে পিএসজি, লিপজিগ, অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদ এবং আটলান্টা। বাকি চারদলের মধ্যে লড়বে বার্সা-নাপোলি, রিয়াল মাদ্রিদ-ম্যান সিটি, জুভেন্টাস-লিওন এবং চেলসি-বায়ার্ন। এই চার ম্যাচ আগের নির্ধারিত ভেন্যুতেই দ্রুত আয়োজন করা হচ্ছে।
[৬] তবে এটি চূড়ান্ত না হলেও বাকি ম্যাচগুলো ঘিরে পরিকল্পনা সাজিয়েছে উয়েফা। আগামী ১২ থেকে ২৩ আগস্ট এ ১২ দিনে কোয়ার্টার, সেমি ও ফাইনাল ম্যাচ আয়োজনের ইচ্ছা উয়েফার। সবগুলো ম্যাচ পর্তুগালের লিসবন শহরে করার পরিকল্পনা সাজানো হয়েছে।
[৭] ১২, ১৩, ১৪ ও ১৫ আগস্ট টানা চারদিনে চারটি হবে কোয়ার্টার ফাইনাল। ১৮ ও ১৯ তারিখ দুটি সেমিফাইনাল। আর ২৩ আগস্ট ফাইনাল দিয়ে পর্দা নামবে ২০১৯-২০ মৌসুমের চ্যাম্পিয়নস লিগের। সম্ভাব্য ভেন্যু হিসেবে লিসবনের দুই বড় স্টেডিয়াম বেনফিকার এস্তাদিও দ্য লুজ এবং স্পোর্টিং লিসবনের হোসে আলভালাদ স্টেডিয়ামকে মাথায় রেখেছে উয়েফা। যদিও এ পরিকল্পনা এখনো চূড়ান্ত হয়নি।
আপনার মতামত লিখুন :