মুসা আহমেদ : [২] করোনা মহামারীর প্রভাবে বিশ্বের প্রায় সব দেশেই শিল্প উৎপাদনে ধস নেমেছে। তবে টানা চার মাস বিপর্যয়ের পর ঘুরে দাঁড়াচ্ছে চীন। মে মাস পর্যন্ত গত দুই মাসে বেড়েছে দেশটির শিল্প উৎপাদন। তবে প্রত্যাশার চেয়ে আয় কিছুটা কম হয়েছে। রয়টার্স
[৩] রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বনেতারা দেশটির অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড ও গতিশীলতার দিকে দৃষ্টি দিচ্ছে। কিভাবে এত সহজে অর্থনৈতিকভাবে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে তা গভীর পর্যবেক্ষণ করছে তারা।
[৪] সোমবার প্রকাশিত দেশটির সরকারি তথ্যমতে, করোনা মহামারীর কারণে খুচরা বাজার ও বিনিয়োগে ধস নেমেছে। গত ডিসেম্বর থেকে চীনের উহানে করোনা মহামারীর প্রাদুর্ভাবে স্থবির হয়ে পড়ে সকল অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড। প্রায় প্রতিটা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানই আর্থিকভাবে বিধ্বস্ত হয়। গতবারের তুলনায় এবার মে মাসে খুব কম সময়ে উৎপাদন প্রবৃদ্ধি বেড়েছে ৪.৪ শতাংশে। যা ডিসেম্বরের পর থেকে সর্বোচ্চ উৎপাদন। তবে এপ্রিলে উৎপাদন প্রবৃদ্ধি ছিলো ৩.৯ শতাংশ। সম্পাদনা: ইকবাল খান
[৫] দেশটির জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যুরোর কর্মকর্তা জিয়াঙ্গ ইউয়ান এক বিবৃতিতে জানান, সার্বিকভাবে শিল্প উৎপাদন মোটের ওপর ভালো যাচ্ছে। তবে করোনার দ্বিতীয় থাবার আশঙ্কায় জটিলতা ও অনিশ্চিয়তা সৃষ্টি হয়েছে।
[৬] বিশ্লেষকরা বলছেন, মোটরগাড়ি শিল্প উৎপাদনে অর্থনীতি পুরুদ্ধারে অনেক অগ্রগতি দেখিয়েছে চীন। এপ্রিলে ও মে মাসে গাড়ি বিক্রিও বেড়েছে সমান তালে। তবে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আশঙ্কায় এ ব্যবসায় উঁকি দিচ্ছে মেঘ। ফলে কয়েক দিন ধরে এসব পণ্যের গ্রাহকরা কিছুটা পিছু হটেছে।
আপনার মতামত লিখুন :