খালিদ আহমেদ : [২] কুয়েতের অপরাধ তদন্ত বিভাগ থেকে জানানো হয়, লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য কাজী শহীদ ইসলাম পাপুলকে জিজ্ঞাসাবাদ করে গুরুত্বপূর্ণ বেশ কিছু তথ্য পাওয়া গেছে। সহযোগীদের আটক করার পর দ্বিতীয় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে পাপুলকে।
[৩] জিজ্ঞাসাবাদে মানব পাচার, অর্থ পাচার, ভিসা জালিয়াতিসহ বিভিন্ন অপরাধ স্বীকার করে নিয়েছেন পাপুল। সেই সঙ্গে তার এসব কর্মকাণ্ডে যারা জড়িত ছিল তাদের নামও বলে দিয়েছেন।
[৪] জানা যায়, কুয়েতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের শীর্ষ এক কর্মকর্তাকে নিয়মিত মোটা অংকের ঘুষ দিতেন পাপুল, বিনিময়ে অবৈধ কর্মকাণ্ডে তাকে সাহায্য করতেন ওই কর্মকর্তা।
আরো বেশ কয়েকজন কুয়েতি নাগরিককে সঙ্গে নিয়ে রীতিমতো সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছিলেন পাপুল।
[৫] জিজ্ঞাসাবাদে এসব চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসার পর কাজে নেমে পড়েছে কুয়েতের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সহযোগিদের পুরো দলটিকে তারা আটক করতে চায়। পাপুলের বিরুদ্ধে করা মামলা তখন ভিন্ন দিকে মোড় নিতে পারে।
[৬] মানব পাচারের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি গ্রহণ করেছে কুয়েত সরকার। বিষয়টা নিয়ে উপ-প্রধানমন্ত্রী আনাস আল সালেহসহ অন্তত ৫ জন মন্ত্রী বিবৃতি দিয়েছেন।
[৭] যে শহরে এমপি পাপুল অফিস খুলে এসব অপকর্ম করতেন সেই শহরের প্রভাবশালী এমপি ওয়াহাব আল বাবতেল বলেন, যে কুয়েতি কর্মকর্তা বাংলাদেশি মানব পাচারকারীকে সহযোগীতা করেছে তাদেরকে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে। তারা আমাদের দেশ জাতি বর্ণ সবকিছুকে ম্লান করে দিয়েছে। এজন্য শাস্তি তাদেরকে পেতেই হবে।
আপনার মতামত লিখুন :