ইসমাঈল আযহার: [২] করোনার বিপত্তিতে লকডাউন ও সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে মসজিদগুলো। লকডাউন শিথিল শরু হয়েছে ১ জুন থেকে। খুলে দেওয়া হয়েছে ধর্মীয় স্থানগুলো। তবুও বাড়তি সতর্কতা বজায় রাখতে প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করছে কেরলের কোঝিকোড়ের কুট্টিচিরার একটি মসজিদ।
[৩] বাইরের সন্দেহজনক আগন্তুক কিংবা সংক্রামিত ব্যক্তিদের মসজিদে আসা ঠেকাতে ও নিয়মিত ব্যক্তিদের সঠিক নিয়মে মসজিদে প্রবেশ করাতে স্মার্ট কার্ডেও ব্যবস্থা করেছে মসজিদটি। মসজিদ কর্তৃপক্ষ স্মার্ট কার্ডের ব্যবস্থা করায় গণহারে মানুষ মসজিদে ঢুকতে পারছে না। স্মার্ট কার্ডধারী সীমিত সংখ্যক মানুষই একটি জামাতে অংশ নিতে পারছে। ফলে সামাজিক দুরত্ব যেমন বজায় থাকছে, তেমনি ভিড়ও এড়ানো যাচ্ছে।
[৪] মসজিদ কমিটিন সদস্য মুহাম্মদ সাজ্জাদ জানান, মসজিদের আশেপাশের মুসল্লিদের স্মার্ট কার্ড দেওয়া হয়েছে কমিটির পক্ষ থেকে। তাতে নির্দিষ্ট ক্রমিক নম্বর থাকছে। যে মসজিদ প্রাঙ্গণে ঢুকতে চায়, তাকে প্রথমে স্যানিটাইজার দিয়ে হাত জীবাণমুক্ত করতে হচ্ছে। এরপর ক্যামেরার সামনে তাদের পরিচয় জানাতে হবে। তাদের ঠিকানা ও ফোন নম্বর সেভ করে রাখতে মসজিদে স্বয়ংক্রিয় সিস্টেম লাগানো হয়েছে। এরপরের বার যখন সেই ব্যক্তি আবার মসজিদে আসবে, তখন শুধু স্মার্ট কার্ড নম্বর বললেই স্বয়ংক্রিয় যন্ত্র তার অন্যান্য বিশদ বিবরণ দিয়ে দেবে। তখন সেই ব্যক্তি মসজিদে প্রবেশের অনুমতি পাবে।
[৫] তিনি বলেন, এটি এমনভাবে কাজ করছে যে, কোনও ব্যক্তি তার স্মার্ট কার্ডটি সোয়াইপ করলেই মসজিদের দরজা খুলে যাবে স্বয়ংক্রিয় ভাবে এবং সে প্রবেশের অনুমতি পাবে। এর জন্য দরজায় সেন্সর বসানো হয়েছে। মসজিদের ভেতরে মুসল্লিদের বসার জন্য সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সিং মেনে দাগ দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
[৬] নির্দিষ্ট কিছু গাইডলাইন ও সামাজিক দুরত্ব মেনে চলার শর্তে কেরল সরকার ৯ জুন থেকে রাজ্যটির ধর্মীয় প্রার্থনালয়, শপিং মল, রেস্তোরাঁ খুলে দিয়েছে। তবে সন্তানসম্ভবা মহিলা ও কোমর্বিডিটি থাকা কেউ এইসব স্থানে যেতে পারবে না। সূত্র: পুবের কলম
আপনার মতামত লিখুন :