শিরোনাম
◈ বিশৃঙ্খলার পথ এড়াতে শিশুদের মধ্যে খেলাধুলার আগ্রহ সৃষ্টি করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী ◈ তাপপ্রবাহের কারণে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাসও বন্ধ ঘোষণা ◈ সোনার দাম কমেছে ভরিতে ৮৪০ টাকা ◈ ঈদযাত্রায় ৪১৯ দুর্ঘটনায় নিহত ৪৩৮: যাত্রী কল্যাণ সমিতি ◈ অনিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল বন্ধে বিটিআরসিতে তালিকা পাঠানো হচ্ছে: তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ◈ পাবনায় হিটস্ট্রোকে একজনের মৃত্যু ◈ জলাবদ্ধতা নিরসনে ৭ কোটি ডলার ঋণ দেবে এডিবি ◈ ক্ষমতা দখল করে আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী আরও হিংস্র হয়ে উঠেছে: মির্জা ফখরুল ◈ বেনজীর আহমেদের চ্যালেঞ্জ: কেউ দুর্নীতি প্রমাণ করতে পারলে তাকে সব সম্পত্তি দিয়ে দেবো (ভিডিও) ◈ চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রি, হিট স্ট্রোকে একজনের মৃত্যু

প্রকাশিত : ১৬ জুন, ২০২০, ০৮:৩৩ সকাল
আপডেট : ১৬ জুন, ২০২০, ০৮:৩৩ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ফারুক হোসেন শিহাব : আধুনিক বাংলা গানের বরপুত্র হেমন্ত মুখোপাধ্যায়

ফারুক হোসেন শিহাব : হেমন্তর গলা শুনলেই বাঙালির মনে হয় ক্লান্তির ঘোর কাটা প্রশান্তি, এক চিলতে সুখের অনুভব। শুধু হেমন্তকে সম্বল করেই বহু সিনেমা দুর্গম পথে পাড়ি দিয়েছে। অনেক নন্দিত শিল্পীর ভেতর দিয়ে আজো তিনি আকাশছোঁয়া। বাংলা সঙ্গীত জগতে হেমন্ত মুখোপাধ্যায় এক কালজয়ী নাম। অসাধারণ সুর আর স্নিগ্ধ ও মোহনীয় কণ্ঠের ছোঁয়ায় তিনি বাংলা সঙ্গীতভা-ারকে সমৃদ্ধ করেছেন, হয়ে ওঠেন সঙ্গীতের বরপুত্র, হয়ে আছেন সুরের জাদুকর। গুণী এই শিল্পীর ৩০তম মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯২০ সালের ১৬ জুন ভারতের কাশীতে বেনারসে মামাবাড়িতে জন্মেছিলেন বাংলা গানের এই প্রথিতযশা শিল্পী। তার সুরেলা কণ্ঠে রবীন্দ্রসঙ্গীত আর আধুনিক গান আজও গেঁথে আছে প্রতিটি বাঙালির হৃদয়ে। তিনি হিন্দি সঙ্গীত জগতে হেমন্ত কুমার নামে প্রসিদ্ধ। পঞ্চাশ-ষাটের দশককে আধুনিক বাংলা গানের স্বর্ণযুগ মনে করা হয়। আর হেমন্ত মুখোপাধ্যায়কে বলা হয় আধুনিক গানের প্রবাদ পুরুষ।

 

তার আদি নিবাস ছিল দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার জয়নগরে। তারছেলেবেলা কেটেছে জয়নগরের বহেডু গ্রামে তিন ভাই আর একমাত্র বোন নীলিমার সাথে। বাবা ছোট চাকরি করতেন। মা হাসিমুখে চার ছেলেকে নিয়ে সামলাতেন সংসার। চব্বিশ পরগনা থেকে বিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধে তার পরিবার কলকাতায় চলে যায়। শিক্ষাজীবনে হেমন্ত ভবানীপুরের মিত্র ইন্সটিটিউশনে ছিলেন। সেখানেই তার সাথে পরিচয় হয় কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের। হেমন্তকে রেডিওতে নিয়ে গিয়েছিলেন সুভাষ মুখোপাধ্যায়। শৈলেশ দাসগুপ্তর সহায়তায় ১৯৩৫ সালে ১৪ বছর বয়সে রেডিওতে প্রথম গান গাইলেন হেমন্ত। সুভাষ মুখোপাধ্যায় লেখা ও কমল দাশগুপ্তর সুরে গানটি ছিল ‘আমার গানেতে এলে, নবরূপ চিরন্তনী’।
এ গানটি খুব একটা জনপ্রিয়তা না পেলেও ১৯৩৭ থেকে তিনি সম্পূর্ণভাবে সঙ্গীতজগতে প্রবেশ করেন। এ বছরই ম্যাট্রিক পাস করেন হেমন্ত। এরপর গ্রামোফোন রেকর্ড ঈড়ষঁসনরধ লেবেলে নরেশ ভট্টাচার্যের লেখা ও শৈলেশ দাসগুপ্তর সুর করা ‘জানিতে যদি গো তুমি’ এবং ‘বলো গো বলো মোরে’ গান দুটি ধারণ করেন। ৯৪৭ সালে ‘অভিযাত্রী’ ছবিতে সঙ্গীত পরিচালনা করে সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে তার আত্মপ্রকাশ ঘটে। এরপর সাড়া জাগানো ছবি- শাপমোচন, নীল আকাশের নিচে, হারানো সুর সহ অনেক বিখ্যাত ছবির সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন হেমন্ত মুখোপাধ্যায়। তার গাওয়া অসংখ্য বিখ্যাত গানের মধ্যে রানার, কোনো এক গাঁয়ের বধূর কথা, ঝড় উঠেছে, মুছে যাওয়া দিনগুলি, আমার গানের স্বরলিপি প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য।

 

হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের অসংখ্য জনপ্রিয় গানের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে- ‘পথের ক্লান্তি ভুলে স্নেহ ভরা কোলে তব মাগো, বলো কবে শীতল হবো’, ‘ও নদীরে, একটি কথা শুধাই শুধু তোমারে’, ‘আয় খুকু আয়,আয় খুকু আয়’, ‘আমি দূর হতে তোমারেই দেখেছি,আর মুগ্ধ এ চোখে চেয়ে থেকেছি’, ইত্যাদি। সঙ্গীতে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে মেশি-বিদেশি বিভিন্ন পুরস্কার-সম্মাননার পাশাপাশি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পেয়েছেন সম্মানসূচক ডি.লিট। ১৯৮৯ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর এই মহান শিল্পী মৃত্যুবরণ করেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়