শরীফ শাওন : [২] বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকস (বিএবি) এর চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার বলেন, ব্যাংকারদের বেতন-ভাতা কমানোর বিষয়ে কোন ব্যাংকে চিঠি বা নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। এ বিষয়ে সংগঠনটি হস্তক্ষেপ করবে না। ইত্তেফাক
[৩] মুলত ব্যাংকারদের ক্ষোভের মুখে এবং সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকারের প্রশ্নে অবস্থান থেকে পিছু হটে বিএবি। এর আগে এক চিঠিতে ব্যাংকের খরচ কমানোর জন্য ১৩ দফা নির্দেশনা দেয় বিএবি। নির্দেশনায় বলা হয়, ১ জুলাই থেকে ৩১ ডিসেম্বও ২০২১ পর্যন্ত সকল গ্রেডের কর্মমর্তা ও নির্বাহীর মাসিক বেতন ৪০ হাজার টাকার বেশি হলে ১৫ শতাংশ কমাতে হবে। এসময়কালের পদোন্নতি, ইনক্রিমেন্ট ও ইনসেনটিভ বোনাস বন্ধ রাখতে হবে। কনফারেন্স বন্ধ রাখতে হবে, প্রয়োজনে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে কনফারেন্স করতে হবে। আইটি রিলেটেড, সফটওয়্যার, হার্ডওয়্যার কেনা থেকে বিরত থাকতে হবে। সকল ব্যয় সীমিত করতে হবে। প্রশিক্ষন ভ্রমণ, সিএসআর, ডোনেশন, চ্যারিটি বন্ধ রাখতে হবে।
[৪] নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যাংক কর্মকর্তা জানান, জোর পুর্বক এ ধরনের সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। বেতন ভাতা কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে ব্যাংকাররা মনোবল হারাবে। এছাড়াও কথিত নির্দেশনার চিঠিতে কারো স্বাক্ষর ছিল না। বেসরকারি ব্যাংকারদের দাবি, বিএবি এমন দেওয়ার অধিকার নেই।
[৫] নজরুল ইসলাম বলেন, বিভিন্ন ব্যাংকের চেয়ারম্যানদের অংশগ্রহণে একটি বৈঠক হয়েছে। বর্তমান প্রেক্ষাপটে বেসরকারি ব্যাংকের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে সম্ভাব্য উপায় নিয়ে আলোচনা হয়। তিনি বলেন, বিভিন্ন ব্যাংকের বিনিয়োগ ও বেতন কাঠামোতে পার্থক্য রয়েছে, তাই ব্যাংক তার নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় চলবে।
আপনার মতামত লিখুন :