আসাদুজ্জামান বাবুল/মাহাবুব সুলতান: [২] গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া ও টুঙ্গিপাড়ার শেষ সীমানা গোপালপুর পঞ্চপল্লি উচ্চ বিদ্যালয়ে টানা ৬৩ বছরেও ইসলাম শিক্ষার কোনো শিক্ষকের দেখা পায়নি শিক্ষার্থীরা।
[৩] ১৯৫৮ সালে নির্মিত এ বিদ্যালয়ে এখন পর্যন্ত ইসলাম ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ না দেওয়ায় বিদ্যালয়টির শুরু থেকে প্রায় ৪০ বছর যাবত মুসলিম ধর্মের কোন শিক্ষার্থী না থাকায় শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়নি, তবে গত ২০ বছর ধরে বিদ্যালয়টিতে ইসলাম ধর্মাবলম্বী কিছু শিক্ষার্থী শিক্ষা নিতে আসলেও শিক্ষক না থাকায় ইসলাম শিক্ষা থেকে বঞ্চিত রয়েছেন তারা। মাঝে মাঝে অন্য শিক্ষক দ্বারা পাঠদান করানো হলেও আলাদা করে ইসলাম শিক্ষার কোন ক্লাশ নেওয়া হয়না বলে জানালেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
[৪] তাদের দাবি অচিরেই ইসলাম শিক্ষার জন্য একজন শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার । ১৯৫৮ সালে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নে নির্মিত হয় গোপালপুর পঞ্চপল্লি উচ্চ বিদ্যালয় । বিদ্যালয়টি নির্মানের ৬৩ বছর পরে আজও ইসলাম শিক্ষার শিক্ষকের দেখা পায়নি শিক্ষাথীরা । স্কুলটি নির্মানের টানা চল্লিশ বছর পর্যন্ত এ স্কুলে কোন ইসলাম ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থী না থাকায় ইসলাম শিক্ষার শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন শিক্ষকেরা ।
[৫] তবে গত ২০ বছর ধরে কিছু ইসলাম ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীরা এ স্কুলে ভর্তি হবার পরেও আজও কোন শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়নি । এতে ইসলাম শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে মুসলিম ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীরা । মাঝে মাঝে অন্য শিক্ষক দ্বারা সিলেবাসে থাকা নির্দেশনা শিক্ষার্থীদের দেখিয়ে দেওয়া হলেও আলাদা করে ইসলাম শিক্ষার কোনো ক্লাশ নেওয়া হয়না ।
[৬] এতে ইসলাম শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে মুসলিম শিক্ষার্থীরা ,অন্য দিকে শিক্ষার্থীদের পাঠদানে সমস্যা হচ্ছে বলেও জানালেন শিক্ষকেরা ।
[৭] বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তাপস কুমার বাড়ৈ, সহকারী প্রধান শিক্ষক মিল্টন তালুকদার বলেছেন, ইসলাম শিক্ষক নিয়োগ দিতে খুব শিগ্রই আবেদন করা হবে। উল্লেখ থাকে যে স্কুলের মোট ১১জন শিক্ষকের মধ্যে একজনও মুসলিম শিক্ষক নেই । ইসলাম শিক্ষা থেকে বঞ্চিত শিক্ষার্থীরা এ ব্যপারে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ
আপনার মতামত লিখুন :