শিরোনাম
◈ এলডিসি উত্তরণের পর সর্বোচ্চ সুবিধা পাওয়ার প্রস্তুতি নিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ◈ ড. ইউনূসকে নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য দুঃখজনক: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত ◈ জলদস্যুদের হাতে জিম্মি জাহাজ মুক্ত করার বিষয়ে  সরকার অনেক দূর এগিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী  ◈ এসএসসি পরীক্ষায় আমূল পরিবর্তন, বদলে যেতে পারে পরীক্ষার নামও ◈ পঞ্চম দিনের মতো কর্মবিরতিতে ট্রেইনি ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ◈ অর্থাভাবে পার্লামেন্ট নির্বাচনে লড়বেন না ভারতের অর্থমন্ত্রী ◈ কখন কাকে ধরে নিয়ে যায় কোনো নিশ্চয়তা নেই: ফখরুল ◈ জনপ্রিয়তায় ট্রাম্পের কাছাকাছি বাইডেন ◈ আদালত থেকে জঙ্গি ছিনতাই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নতুন তারিখ ৮ মে

প্রকাশিত : ১৫ জুন, ২০২০, ০৬:৪৪ সকাল
আপডেট : ১৫ জুন, ২০২০, ০৬:৪৪ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সানাউল্লাহ লাবলু : নাসিম ভাই, মানুষে মানুষে সম্পর্ককে সম্মান করতেন, গুরুত্ব দিতেন

সানাউল্লাহ লাবলু : গত কদিন ধরে তার স্বাস্থ্যের খবর রাখছিলাম। মানসিক প্রস্তুতিও ছিল একরকম হয়তো তিনি আর ফিরবেন না। তবু আশায় ছিলাম, একটা ‘অলৌকিক’ কিছু হতেই পারে। কিন্তু অলৌকিক বলে তো কিছু নেই। আশির দশকের শেষার্ধ থেকে সক্রিয় রিপোর্টার হওয়ার সুবাদে নাসিম ভাইয়ের সঙ্গে ঘনিষ্ট সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। সেটা এতোটাই ঘনিষ্ট যে, মাঝে মধ্যে তার ধানমন্ডির বাসায় দুপুরের খাবার বা বিকেলের নাস্তার টেবিলে আড্ডা পর্যন্ত গড়াতো। রাজনীতির ভেতরের খবর জানা বোঝার জন্য আমাদের মধ্যে একটা আস্থার সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল।

সে সময়ের তরুণ রিপোর্টারদের অনেকের সঙ্গে মোহাম্মদ নাসিম, তোফায়েল আহমেদ, আমির হোসেন আমু, প্রয়াত সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনু, নুরুল ইসলাম নাহিদ, পঙ্কজ ভট্টাচার্য, প্রয়াত আব্দুস সালাম তালুকদার, প্রয়াত হান্নান শাহ, প্রয়াত আব্দুল মান্নান ভূঁইয়া, প্রয়াত খন্দকার দেলোয়ার হোসেনের মতো রাজনীতিকদের সঙ্গে এমন আস্থার সম্পর্ক ছিলো। খবর সংগ্রহে অনেক রাজনীতিকের অন্দর মহলে সাংবাদিকদের অবাধ প্রবেশাধিকার ছিল। নব্বইয়ের দশকের শেষ থেকে মাঠের খবর সংগ্রহ ছেড়ে সংবাদ ব্যবস্থাপনায় যুক্ত হয়ে পড়ি। তাই নাসিম ভাইসহ সিনিয়র রাজনীতিকদের সঙ্গে সরাসরি দেখা সাক্ষাৎ কমে আসে। তবে তারা যেমন খোঁজ রাখতেন, আমিও রাখতাম। নাসিম ভাই আমাকে পছন্দ করতেন সেটা কখনো লুকোনো ছিলনা। ’৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে। এ সময় একাধিক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ছিলেন নাসিম ভাই। ওই পাঁচ বছরে দু’তিন দিন ইফতার পার্টি বা এ জাতীয় অনুষ্ঠানে তার সঙ্গে দেখা হয়েছে।

সবসময় আক্ষেপ করেছেন, কেন উনার অফিসে যাই না। এ সময়কালে কোনো কাজে আমার সে সময়ের সম্পাদক দেখা করতে গিয়েছিলেন। নাসিম ভাই উনাকেও বলেছিলেন, লাবলুকে নিয়ে আসলেন না কেন? ২০০৭ থেকে আমি রেডিওতে। এর পরেও তিনি মন্ত্রী ছিলেন। তখনো আমাদের রিপোর্টাররা খবর সংগ্রহে গেলে নাসিম ভাই বলতেন, লাবলুকে ফোন দিতে বলবেন। আসতে বলবেন। ব্যক্তি মানুষ হিসাবে এমনই আন্তরিক ছিলেন মোহাম্মদ নাসিম। মানুষে মানুষে সম্পর্ককে তিনি সম্মান করতেন, গুরুত্ব দিতেন। নাসিম ভাই আজ চলে যাওয়ায় মনে হচ্ছে, আমার খোঁজ নেওয়ার একটা মানুষ এই গ্রহে কমে গেলো। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়