শিরোনাম
◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ ইরানের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের ◈ বোতলজাত সয়াবিনের দাম লিটারে ৪ টাকা বাড়লো ◈ রেকর্ড বন্যায় প্লাবিত দুবাই, ওমানে ১৮ জনের প্রাণহানি

প্রকাশিত : ১৫ জুন, ২০২০, ০৬:৩৩ সকাল
আপডেট : ১৫ জুন, ২০২০, ০৬:৩৩ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

লীনা পারভীন : মোহাম্মদ নাসিমের অবদান অস্বীকার করার মানেই হচ্ছে, আপনি আসলে মুক্তির সংগ্রামের লোকই নন

লীনা পারভীন : বাংলাদেশের যেকোনো উন্নয়নে প্রধান ও সম্ভবত একমাত্র সমস্যা হচ্ছে দুর্নীতি। এ কথা আজ দূষণমুক্ত আকাশের মতোই পরিষ্কার ও দৃশ্যমান। তবে এ দুর্নীতির শুরুটা কবে কেমন করে হয়েছে বা চলে এসেছে সেটিও জানা থাকাটা দরকার। না হয় যেকোনো ঘটনার আলোচনায় গ্যাপ থেকে যাবে আর আমরা হয়ে যাব ঝাপসা দৃষ্টির অধিকারী। মূলত পাকিস্তান আমল থেকেই দুর্নীতিকে আমরা ক্যারি করছি। সদ্য স্বাধীন হওয়া বাংলাদেশেও সেই ঐতিহ্য ছিলো এবং সেটা এখনও বয়ে চলেছে আমাদের দেশ। মুক্ত করার দায় বা দায়িত্ব কার বা কাদের ছিলো? ছিলো রাষ্ট্রের ক্ষমতাশীলদের আর দেশের জনগণের।

কিন্তু ইতিহাস কী বলে? ৭৫ পরবর্তী সরকারগুলো কারা ছিলো? তাদের ভূমিকা ভুলে গিয়ে যদি আলোচনা করি তাহলে বুঝতে হবে হয় আমাদের উদ্দেশ্যে গলদ আছে আর না হয় জানার ঘাটতি আছে। ছোট করে বললে, স্বাস্থ্যখাতের আজকের এই অবস্থার জন্য দায়ী কারা? এক মোহাম্মদ নাসিম কী? তাহলে বলতে হবে আমরা জেনেবুঝে সবাইকে ভুল মেসেজ দিচ্ছি। দুর্নীতি হচ্ছে একটি সিস্টেম আর সেই সিস্টেম তৈরি হয় অনেকদিনের চর্চায় যেখানে যুক্ত থাকে অনেকগুলো পদের মানুষ। আপনার চারপাশে যখন গোটাটাই থাকে গলদের তখন একা আপনি মুক্ত থাকতে পারেন না। আমি বলছি না নাসিম সাহেবের দায় বা দায়িত্ব ছিলো না। অবশ্যই ছিলো এবং যেহেতু তিনি প্রকাশ্যে সেসবের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেননি, তাই সেই ব্যর্থতার দায় তার ঘাড়েই বর্তায়। কারণ তিনি ক্ষমতা ছাড়েননি বা দায় অস্বীকার করেননি।

কিন্তু একজনের দায়ে আজকের এই গর্ত সেটা বলাটা মনে হয় সমীচীন হবে না। যারা নাসিম সাহেবের মৃত্যুতে বগল বাজাচ্ছেন তারা কখনোই আসলে সিস্টেমের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যেতে রাজি নয়। তাদের মূল চুলকানী আওয়ামী লীগে আর কিছুতে না। দেখবেন তারা কখনই বিএনপি-জামায়াতের দুর্নীতিবাজ কেউ মারা গেলে বা অসুস্থ হলে তাদের কুকর্ম নিয়ে আলোচনায় আসবে না। আফসোস হচ্ছে আমাদের দেশে রাজনৈতিক শিক্ষার অভাব এতটাই প্রকটে চলে গেছে যে কারও মৃত্যুও আমাদেরে ছুঁতে পারে না। একজন নাসিম একদিনে জন্ম নেয়নি। এই দেশের আন্দোলন সংগ্রাম ও মুক্তির লড়াইয়ে তার মতো অনেকের রয়েছে অসীম অবদান। সেইসব অবদানকে অস্বীকার করার মানেই হচ্ছে আপনি আসলেই মুক্তির সংগ্রামের লোকই নন। রাজনৈতিক লড়াই আপনার কাছে কোনো ম্যাটার করে না। আপনার সারা শরীরে এক্সিমার মতো ঘা ছড়িয়ে আছে আর সেখানে আওয়ামী লীগ শুনলেই ছ্যাঁকা লাগে। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়