নূর মোহাম্মদ : [২] রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালের করোনা ইউনিটে আগুনে পাঁচ জনের মৃত্যুর ঘটনায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, ঢাকা মেট্টোপলিটন পুলিশ এবং রাজউকের দেয়া তদন্ত প্রতিবেদন হাইকোর্টে দাখিল করা হয়েছে।
[৩] রোববার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিমের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার এই তদন্ত প্রতিবেদন তুলে ধরেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের আইনজীবী মুস্তাফিজুর রহমান খান আদালতে বলেন, তদন্ত রিপোর্টগুলো দেখে ব্যাখ্যা দাখিল করতে চাই। এরপর আদালত ২২ জুন এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানি ও আদেশের জন্য দিন ধার্য করেন।
[৪] ফায়ার সার্ভিসের প্রতিবেদনে বলা হয়, আগুন নেভাতে কার্যকর পদক্ষেপ নিলে রোগীদের জীবন বাঁচানো সম্ভব হত বলে মনে করে তদন্ত কমিটি। এসি হতে আগুনের স্ফুলিঙ্গ নির্গত হতে দেখেও কর্মরত উপস্থিত ব্যক্তিরা আগুন নেভানোর সরঞ্জামাদি ব্যবহারে কার্যকর কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেনি।
[৫] এতে আরও বলা হয়, পর্যাপ্ত অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছাড়া এ ধরনের আইসোলেশন সেন্টার নির্মান ঠিক হয়নি। অস্থায়ী সরঞ্জামাদি দ্বারা তৈরি না করে স্থায়ী বা অগ্নি প্রতিরোধ যোগ্য নির্মাণ সামগ্রী দ্বারা এ ধরনের আইসোলেশন সেন্টার তৈরি করা উচিত ছিলো।
[৬] রাজউকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আইসোলেশন সেন্টার নির্মাণে তাদের অনুমোদন নেয়া হয়নি। ডিএমপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অগ্নিকান্ড সংঘটন ও তা প্রতিরোধে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের গাফিলতি ছিলো। এছাড়া তিন সংস্থার প্রতিবেদনেই বলা হয়েছে, অগ্নিনির্বাপণ সরঞ্জামাদির বেশিরভাগ ছিলো মেয়াদোত্তীর্ণ ও অকেজো। সম্পাদনা : খালিদ আহমেদ
আপনার মতামত লিখুন :