সাদিয়া নাসরিন : "বিশেষ ফ্লাইটে ২৬৭ জন ইতালি ফিরে গেল।" এরা ইতালি থেকে চলে এসেছিল ইতালীর চরম দূর্দিনে। এয়ারপোর্টে নেমেই এই দেশকে, সিস্টেমকে, পাসপোর্টকে “ফাক” করতে করতে পুলিশের পেটের ভাত হাতচালান করে ফেলছিলো, পুলিশ তাদেরকে ১৫ দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলেছিল বলে।
এখন ইতালী করোনা নিয়ন্ত্রণ করে ফেলছে। প্রতিদিনই আক্রান্ত হবার সংখ্যা কমে আসছে। আর বাংলাদেশে প্রতিদিন বাড়ছে।আগামীকালই বাংলাদেশ আক্রান্তের দিক দিয়ে করোনা ভাইরাসের উৎপত্তিস্থল চীনকেও ছাড়িয়ে যাবে। এসব দেখেশুনে ইতালী ফেরত সুদিনের মৌমাছির দল আবার বাংলাদেশের এই চরম দূর্দিনে বাংলাদেশ থেকে উড়াল দিলো।
এরা ইতালি থেকে করোনা ভাইরাস নিয়ে আসলেন, তারপর ছড়িয়ে দিলেন, ফাইনালি চলেও গেলেন। পেছনে রেখে গেলেন বিধ্বস্ত বাংলাদেশ। এবার বাংলাদেশ থেকে ভাইরাস নিয়ে গিয়ে আবার বিপদে ফেলবে প্রায় সামলে উঠা ইতালিকে।
এরাই কিন্তু এই দেশের দুর্দিন বলে, নিজেদের আখের গুছানোর জন্য বৈধ অবৈধ পথে চলে যায় বিভিন্ন দেশে, আবার সেই দেশের বিপদ দেখলে চলে আসে এই দেশে।
এরা বেশিরভাগ সময় টাকা পাঠায় হুন্ডিতে অবৈধভাবে। সরকার ২% প্রণোদনা ঘোষণা দেওয়ার পর সেই মধুটা খাওয়ার জন্য কিছু রেমিট্যান্স ব্যাংকে পাঠায় আর নিজেদেরকে গালভরা নামে ডাকে “রেমিট্যান্স যোদ্ধা”।
এরা না ওউন করে এই দেশকে, না ওউন করে ওই দেশকে।একসময় ইতালীর সানগ্লাস চোখে লাগিয়ে তারা ইতালীকে গালি গালাজ করতো। যে দেশ তাদেরকে নাগরিকত্ব, অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, অর্থ, জীবিকা সোশ্যাল সিকিউরিটি সবকিছু দিয়েছিল, সেই দেশকেই এমন কোন তুচ্ছতাচ্ছিল্য নেই যা তারা করেনি।
নিজের জাতিকে শ্রেষ্ঠ প্রমান করতে গিয়ে ইতালিয়ানদের ধর্ম ও খাদ্যাভাসকে একেবারে ধুয়ে দিয়েছিল। আবার চাপে পড়ে নিজের দেশকে প্রকাশ্যে ‘ফাক’ করতেও ছাড়েনি।
এদেরকে টু সাম এক্সটেন্ড রাজাকারদের চেয়েও জঘন্য লাগে আমার। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :