নোয়াখালী প্রতিনিধি: [২] নোয়াখালীতে করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্তদের বেশিরভাগ রোগীই চিকিৎসা নিচ্ছেন শহীদ ভুলু স্টেডিয়ামে স্থাপিত অস্থায়ী কোভিড-১৯ হাসপাতাল ও নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে। রোগীর সংখ্যা প্রতিদিন বাড়তে থাকায় এই দুই হাসপাতালে দেখা দিয়েছে অক্সিজেন সিলিন্ডার সংকট। পাশাপাশি এখানে নেই কোনো কেন্দ্রীয় অক্সিজেন ব্যবস্থা।
[৩] বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই অবস্থায় যদি কোনো জটিল রোগী হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হন তবে সেক্ষেত্রে অনেকটাই ঝুঁকির মধ্যে পড়বে চিকিৎসা ব্যবস্থা। রোববার ( ১৪ জুন) পর্যন্ত জেলায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৩৪০জন ও করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৩৫ জনের। এরমধ্যে রোববার নতুন আক্রান্তের সংখ্যা ২৬জন।
[৪] ভুলু স্টেডিয়ামে স্থাপিত কোভিড হাসপাতালে ৪২টি অক্সিজেন সিলিন্ডার দিয়ে চলছে চিকিৎসা। যেখানে অন্তত ১৫০টি সিলিন্ডার প্রয়োজন। এখানে ৮০টি শয্যায় চিকিৎসা নিচ্ছেন ৫৪জন রোগী। এ হাসপাতালে সর্বমোট ১৪০জন রোগী ভর্তি হয়ে সুস্থ হয়েছেন ৯১জন।এছাড়া নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালেও আইসোলেশন ওয়ার্ডে ৩০০টি অক্সিজেন সিলিন্ডার প্রস্তুত থাকার কথা থাকলেও আছে মাত্র ৬০টি। এখানে আইসোলেশন ওয়ার্ড়ে ২০টি শয্যায় ১৩জন রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। তীব্র শ্বাসকষ্টের রোগীদের জন্য অক্সিজেনের প্রয়োজন হলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে হাসপাতাল থেকে অক্সিজেন পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন রোগীর স্বজনরা।
[৫] শহীদ ভুলু স্টেডিয়ামে স্থাপিত কোভিড হাসপাতালের কোঅর্ডিনেটর ডা. নিরুপম দাশ বলেন, শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা বা স্যাচুরেশন ৯৩শতাংশের নিচে নেমে গেলে প্রথমে অল্প মাত্রায় অক্সিজেন দিতে হয়। এতেও পরিস্থিতির উন্নতি না হলে অক্সিজেনের মাত্রা দ্বিগুণ করা হয়। আমাদের হাসপাতালে হাই-ফ্লো ও সেন্ট্রাল অক্সিজেন দরকার হলেও তা নেই। সিলিন্ডারের অক্সিজেনে রোগীকে ভালো রাখার চেষ্টা করছি। কিন্তু তাও ঠিকমতো পাচ্ছি না।
[৬] নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. সৈয়দ মহিউদ্দিন আবদুল আজিম বলেন, হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ড়ে ১৩জন করোনা আক্রান্ত রোগী ভর্তি রয়েছেন। তাদের জন্য অন্তত ৬০টি অক্সিজেন সিলিন্ডারের প্রয়োজন রয়েছে। অক্সিজেন সংকটের কারণে রোগীদের সেবা দিতে সমস্যা হচ্ছে।
[৭] নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা. ফরিদ উদ্দিন বলেন, আামাদের কখনো অক্সিজেন সিলিন্ডার সংকট হয় নাই। এখন এ পরিস্থিতিতে কিছুটা সংকট দেখা দিয়েছে। ৫০টি অক্সিজেন সিলিন্ডারের চাহিদাপত্র দিয়েছি। সেগুলো পেলে সংকট কেটে যাবে।
আপনার মতামত লিখুন :