সিরাজুল ইসলাম : [২] অনেকের চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়েছে। কিন্তু নভেল করোনাভাইরাসের কারণে তারা স্থল সীমায় যেতে পারছেন না। আকাশ পথ বন্ধ থাকায় তারা দেশে ফিরতে পারছেন না। তারা কবে নাগাদ দেশে ফিরতে পারবেন, তা অনিশ্চিত।
[৩] দীর্ঘদিন সোমালিয়ার বন্দরে জাহাজেই আটকা আছেন ৫ বাংলাদেশি। কোভিড পরিস্থিতির কারণে তারা সোমালিয়ায় ঢুকতে পারছেন না; আবার দেশেও ফিরতে পারছেন না। দুবাইয়ের ওই জাহাজে রয়েছেন ২৩ কর্মী। বাকি ১৮ জন ভারতের নাগরিক।
[৪] সেকেন্ড অফিসার আতিকুল ইসলামের সঙ্গে জাহাজটির চুক্তি ছিল পাঁচ মাসের; কিন্তু তিনি ৯ মাস আটকে আছেন জাহাজে। পাম্পম্যান আনজাম হোসেন আট মাসের চুক্তিতে জাহাজে উঠেন। ৯ মাস কাটছে জাহাজেই। বোসানের দায়িত্বে থাকা নাইমুল ইসলাম ও ওয়ালার সোহেল রানাও আছেন প্রায় ৯ মাস ধরে।
[৫] সরকারি সমুদ্র পরিবহন অফিসের তথ্যানুযায়ী, নাবিক ও কর্মীসহ প্রায় ৪ হাজার বাংলাদেশি বিভিন্ন দেশের বন্দরে আটকা পড়েছেন। কারো কাজের চুক্তি শেষ; আবার কারো চুক্তি চলমান রয়েছে। তাছাড়া বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের (বিএসসি) ৬টি জাহাজের ১৫৬ নাবিক, অফিসার ও স্টাফ বিভিন্ন দেশের আটকা পড়ে আছেন।
[৬] বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের জেনারেল ম্যানেজার ক্যাপ্টেন জামাল হোসেন তালুকদার বলেন, আকাশ বন্ধ থাকায় তাদের ফিরিয়ে আনা যাচ্ছে না। তাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করছি। তারা পরিবারের সঙ্গেও যোগাযোগ করতে পারছেন।
আপনার মতামত লিখুন :