রাশিদ রিয়াজ : [২] রোববার যুক্তরাষ্ট্রের চার তারকা জেনারেল রবার্ট আবরাম যিনি দক্ষিণ কোরিয়ার মার্কিন বাহিনীর নেতৃত্ব দিচ্ছেন তিনি ব্লাক সার্ভিস সদস্যদের সঙ্গে চলমান বিক্ষোভ ও জাতিগত বৈষম্য দূর করতে কি করা যায় তা নিয়ে আলাপ করেন। এটি ফেসবুকে প্রচার হয়। সিএনএন
[৩] জেনারেল আবরাম বলেন যুক্তরাষ্ট্রে চলমান বৈষম্য দূর করতে সত্যিকারের একটি এ্যাকশন প্লান নিতে যাচ্ছি। আর এক মুহূর্ত বিলম্ব নয়। তিনি বলেন বিক্ষোভে সবধরনের মার্কিন নাগরিক অংশ নিচ্ছে এটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতীক এবং সামরিক পদমর্যাদা হ্রাস করার জন্যে তা যথেষ্ট।
[৪] শ্বেতাঙ্গ এই মার্কিন সামরিক জেনারেল অকপটে স্বীকার করেন তিনি তার পেশাগত জীবনে বর্ণবাদ ও গোঁড়ামি দূর করতে চেষ্টা করেছেন এবং তা খুব কষ্টসাধ্য ছিল। আবরামের এধরনের বক্তব্য মার্কিন শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তারা যে জাতিগত বৈষম্য নিয়ে উদ্যোগ নেবার চেষ্টা করছেন তার একটি উদাহরণ মাত্র।
[৫] এসব বিষয় নিয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সামরিক নেতাদের সঙ্গে কথা বলতে চান কি না তা নিয়ে শীর্ষ মার্কিন জেনারেলরা আর অপেক্ষা করছেন না। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কিংবা ভিডিও বার্তায় মার্কিন সামরিক কর্মকর্তারা জাতিগত বৈষম্য দূর করতে সঠিক পদক্ষেপ নেয়ার জন্যে খোলামেলা বক্তব্য রাখছেন।
[৬] মার্কিন সেনাবাহিনীর অনেক সদস্য ও কর্মকর্তারা বিষয়টি যা বলছেন কমান্ডাররা তা শুনছেন। ট্রাম্প নিজেকে কমান্ডার ইন চিফ হিসেবে আত্মপ্রকাশের জন্যে ব্যবহার করলেও জাতিগত অন্যায়ের বিরুদ্ধে মার্কিন সেনাবাহিনীর মধ্যে কিছু একটা করার অভিপ্রায় দানা বেধে উঠছে। প্রেসিডেন্টের ক্রোধের ঝুঁকি সম্পর্কে তারা অবহিত কিন্তু নিজেদের পেশাগত উন্নতির ব্যাপারে তারা একমত।
[৭] পেন্টাগনের করিডোরে এক মার্কিন জেনারেল সিএনএন’কে জানান, কিছুদিন আগে এক কৃষ্ণাঙ্গ সেনা সদস্য বলেছিলেন, ‘আমি মনে করি না আমাকে সত্যিই কেউ বোঝে।’ এর প্রতিক্রিয়ায় জেনারেল বলেন সেনারা কি বলছে তা আমাদের শুনতে হবে। সেনাবাহিনীর মধ্যে বেদনাদায়ক উদঘাটন ভাগ হচ্ছে তা নিয়ে আমরা সাধারণত আবেগ প্রকাশ করি না।
আপনার মতামত লিখুন :