ভূঁইয়া আশিক : [২] এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান বলেন, অপ্রদর্শিত টাকা (বৈধ আয়), কালো টাকা (অবৈধ আয়) অর্থনীতিতে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে সরকার যে শর্ত দিয়েছে সেখানে নৈতিকতার প্রশ্নটি বিশেষভাবে বিবেচ্য। বৈধভাবে উপার্জিত করদাতাদের চেয়ে কালো টাকার মালিকদের কর কোনোভাবেই কম হওয়া যাবে না। তাহলে কালো টাকা বা অপ্রদর্শিত টাকার মালিকেরা উৎসাহিত হবে, বৈধ আয়ের করদাতারা নিরুৎসাহিত হবেন।
[৩] এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপে তিনি বলেন, অর্থনীতিতে কালো টাকা বা অপ্রদর্শিত টাকা আসতে হবে, এর প্রয়োজন আছে। যাদের কাছে কালো টাকা বা অপ্রদর্শিত টাকা রয়েছে তাদের এবং সরকারের স্বার্থেই এটা দরকার। কেননা সরকারকে অর্থনীতি পরিচালনা করতে হয়। একইসঙ্গে করোনার কারণে অসহায় হয়ে পড়া মানুষদের টাকা দিতে হয়। অর্থনীতি সচল রাখার জন্য ভর্তুকিও দিতে হয়। সরকার এতো টাকা পাবে কোথায়? হয়তো কিছুটা ব্যাংক থেকে ঋণ করে, কিছুটা সুদের হার কমিয়ে দিচ্ছে।
[৪] বহু লোক অর্থনীতিতে একটা বৈষম্য সৃষ্টি করে বসে আছে। অনেক টাকা বিদেশে পাঠিয়ে দিয়েছে। কিছু টাকা হয়তো দেশেও রেখেছে। ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়া টাকা পর্যন্ত দেশের বাইরে পাঠিয়ে দিয়েছে! [৫] যার কাছে যে পরিমাণ টাকা আছে, তিনি অনিয়ম বা অবৈধভাবে আয় করুক, ওই টাকা দিয়ে তাকে বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ গড়ে তুলতে হবে। এতে অর্থনীতি সচল হবে।
আপনার মতামত লিখুন :