শিমুল মাহমুদ : [২] তিনি আশাবাদী বাংলাদেশে এই বছরের শেষ নাগাদ ভ্যাকসিনটি ব্যবহারের জন্যে পেয়ে যাবে
[৩] ব্রিটেনের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের তৈরি করোনার ভ্যাকসিন আগামী আগস্ট থেকেই বাজারে আসতে পারে। সম্প্রতি অক্সফোর্ডের সেন্টার ফর পারসোনালাইজড মেডিসিনের প্রফেসর অ্যাড্রিয়ান হিল এ আশাবাদের কথা জানিয়েছেন। ভ্যাকসিনটি ব্যবহার করা যাবে ইনহেলারের মাধ্যমে।
[৪] এ বিষয়ে চিকিৎসক বিজ্ঞানী আয়ারল্যান্ড প্রবাসী ডা. আরমান রহমান বলেন, ব্রিটেনের এ ভ্যাকসিন কখন আমাদের হাতে আসবে সেটা নির্ভর করবে ভ্যাক্সিনের ট্রায়াল কোথায় হচ্ছে তার উপর, এমন জায়গায় ট্রায়াল করতে হবে যেখানে রোগী সংখ্যা প্রচুর। কিন্তু ব্রিটেনে হঠাৎ করে করোনা রোগী কমে গেছে, যুক্তরাষ্ট্রেও কমতির দিকে। এজন্য তারা ভ্যাকসিন ট্রায়ালের জন্যে সবাই মিলে যাচ্ছে ব্রাজিলে।
[৫] প্রবাসী এ চিকিৎসক বলেন, ভ্যাক্সিন তৈরী করতে আগে সময় লাগতো ১০ বছর। বর্তমানে পুরো প্রক্রিয়াটা হচ্ছে কয়েক মাসের মধ্যে, এটা যুগান্তকারী। এই ভ্যাকসিন তৈরীর পদ্ধতি নতুন, আগে তৈরী ভ্যাক্সিনের থেকে আলাদা, তাই এই ভ্যাকসিনটা সবাইকে দেওয়া যাবে, গর্ভবতী মহিলা বা বয়স্কদের ক্ষেত্রে সমস্যা হবে না।
[৬] তিনি বলেন, প্রথমত ভ্যাকসিন তৈরিতে দেশ গুলো অসাধারণ সহযোগিতায় কাজ করছে। অর্থের জন্য কোনো বেগ পেতে হয়নি। এছাড়া পদ্ধতিগত পার্থক্য থাকায় এই ভ্যাক্সিন বেশি সংখ্যায় তৈরী করতে বেশি সময় লাগে না। যথেষ্ট সংখ্যক রোগীর জন্যে অপেক্ষা করতে হয়নি। তাই অবিশ্বাস্য দ্রুত গতিতে ভ্যাকসিন তৈরির কাজ এগোচ্ছে।
[৭] ডা. আরমান রহমান বলেন, মুলত ক্যান্সারের গবেষনা থেকেই করোনার ভ্যাকসিন আবিষ্কারের ধারণাটা নেয়া হয়েছে। ক্যান্সারের ভ্যাক্সিনের গবেষণার জন্যে যেই ধরণের ডি এন এ /আর এন এ ভ্যাক্সিন তৈরী করা হয়েছিল, করোনা ভ্যাকসিনগুলিও মূলত একই ধরণের।
আপনার মতামত লিখুন :