মাসুদ রানা : বয়োবৃদ্ধ হওয়া ও অনেক আণ্ডারলাইং কণ্ডিশন থাকার পরও করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে সুস্থ হয়ে খুব অল্পদিনের মধ্যে বাড়ী ফিরে গেলেন জাফরুল্লাহ চৌধুরী! তিনি সৌভাগ্যবান!
কবে যেনো তিনি ঘোষণা করেন যে, তাঁর করোনাভাইরাস সংক্রমণ তাঁরই গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের টেস্ট কিটের মাধ্যমে নির্ভুলভাবে ধরা পড়েছে, আমি ভুলে গিয়েছি।
অসুস্থ থাকা অবস্থায় জাফরুল্লাহ চৌধুরী জনগণের চিকিৎসা-বঞ্চনার কথা ভেবে দামী ওষুধ ও চিকিৎসা সেবনে বা গ্রহণে অস্বীকৃতি জানিয়ে দেশবাসীর বিপুল 'বিনম্র শ্রদ্ধা' অর্জন করেন দক্ষতার সাথে।
আমি ভয়ে ছিলাম জাফরুল্লাহ চৌধুরী দেহত্যাগ করতে পা্রেন ভেবে। কিন্তু আজ আমি ভয়মুক্ত যে, তিনি তাঁর গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে থেকেই সেখানকার চিকিৎসা নিয়ে অতি অল্প সময়ে সুস্থ হয়ে আবার বাড়ী ফিরে গিয়েছেন। এটি নিঃসন্দেহে একটি স্বস্তিদায়ক ও আনন্দের সংবাদ।
আমরা কি বলতে পারি না যে, জাফরুল্লাহ চৌধুরীর গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র শুধু বিশ্বের সেরা কোরানাভাইরাসের টেস্ট কিটই উদ্ভাবিত করেনি, করোনাভাইরাসের চিকিৎসাতেও তারা সফল?
প্রমাণ চান? প্রমাণ খোদ জাফরুল্লাহ চৌধুরী - 'টু ইন ওয়ান'! গণস্বাস্থ্যের টেস্ট কিট দিয়ে তাঁর করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরীক্ষা করে নিশ্চিত হওয়া গিয়েছে, যা তিনি নিজেই বলেছেন, এবং গণস্বাস্থ্যে কেন্দ্রের চিকিৎসাতেই তিনি সুস্থ হয়ে বাড়ী ফিরে গিয়েছেন। ব্যস, আর কী চান?
জাফরুল্লাহ্ চৌধুরী হচ্ছেন একই সাথে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ও উত্তরণের প্রমাণপুরুষ। এখানে সন্দেহের কোনো স্পেইস আছে কি? তাঁর করোনাভাইরাস হয়েছিলো কি হয়নি সেটি কি কোনো বিতর্কের বিষয়?
কী বলেন বিজ্ঞ পাঠক?
১২/০৬/২০২০
লণ্ডন, ইংল্যাণ্ড
ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :