আসিফুজ্জামান পৃথিল : [২] ভারতের অন্তর্গত লিপুলেখ, লিম্পিয়াধুরা এবং কালাপানিকে নিজেদের দেশের অংশ হিসেবে দেখিয়ে সম্প্রতি নতুন মানচিত্র প্রকাশ করে নেপাল। তা নিয়ে দুই দেশের মধ্যে ক‚টনৈতিক টানাপড়েন শুরু হয়েছে। তা সত্তেও তারা নিজেদের সিদ্ধান্তেই অনড় থাকবে বলে জানিয়ে দিল কাঠমান্ডু। দ্য হিন্দু হিমালায়ান টাইমস
[৩] নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রদীপ গয়ালি বলেন, ‘জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে গত ২ নভেম্বর নিজেদের মানচিত্র বদলায় ভারত। তার পরই আমরা এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিই। এটা স্থায়ী সিদ্ধান্ত কারণ ওই এলাকাগুলি নেপালের মধ্যেই পড়ে। এ নিয়ে কোনও অনিশ্চয়তা নেই। তবে কোন এলাকা নেপালের মধ্যে পড়ছে, তা নিয়ে আলোচনা হওয়া দরকার।’
[৪] সম্প্রতি লিপুলেখ গিরিপথ থেকে কৈলাস-মানস সরোবরে যাওয়ার পথ পর্যন্ত একটি রাস্তার উদ্বোধন করেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। তাতে প্রতিবাদ জানায় নেপাল সরকার। তার পরই ওই নতুন মানচিত্র প্রকাশ করে তারা।
[৫] গাওয়ালি বলেন, ‘আমরা ভারতের সঙ্গে সীমান্ত বিরোধ নিয়ে আলোচনার প্রস্তাবে কোন সাড়া পাইনি। ভারত ও চীন যদি তাদের বিরোধ মেটাতে পারে, তাহলে নেপাল ও ভারত কেন সেটা করতে পারবে না। আমি বিশ্বাস করি, কাঙ্খিত আলোচনাটি খুব তাড়াতাড়ি শুরু করা যাবে।’
[৬] করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে বিরোধপূর্ণ ভূখন্ড আলোচনায় বসা সম্ভব হচ্ছে না বলে নেপাল সরকারকে জানিয়েছে ভারত।
[৭] নেপালের স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো বলছে, দুই দেশের পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আলোচনার আয়োজন করার জন্য অনুরোধ করলেও তাতে কোন পরিষ্কার অবস্থান জানায় নি ভারত।
আপনার মতামত লিখুন :