সমীরণ রায়: [২] বাংলাদেশ ক্ষেতমজুর সমিতির সভাপতি ডা. ফজলুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন রেজা এক বিবৃতিতে এবারের বাজেটকে প্রত্যাখ্যান করে আরও বলেন, করোনা মহামারির সময়ে মানুষ বাঁচাতে স্বাস্থ্য, খাদ্য নিরাপত্তাসহ সামাজিক নিরাপত্তা খাতের প্রাধান্যের গণআকাঙ্ক্ষা প্রস্তাবিত বাজেটে উপেক্ষিত হয়েছে। লুটেরাদের স্বার্থরক্ষায় ৯৯ শতাংশ মানুষের স্বার্থবিরোধী বাজেট প্রস্তাব এটি।
[৩] তারা আরও বলেন, দেশের মানুষ প্রত্যাশা করেছিল করোনা মহামারিকে বিবেচনায় নিয়ে প্রান্তিক মানুষের কাছে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শমতো বাজেটে স্বাস্থ্যখাতে বরাদ্দ বাড়নো হবে। কিন্তু প্রস্তাবিত বাজেটে স্বাস্থ্যখাতে বরাদ্দ প্রয়োজনমতো বাড়ানোর বিষয়টি উপেক্ষিত। ক্ষেতমজুরসহ গ্রামীণ মজুরদের জন্য পল্লি রেশনিংসহ সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়টিও প্রস্তাবিত বাজেটে উপেক্ষা করা হয়েছে।
[৪] তারা বলেন, ধনীদের জন্য কালো টাকা সাদা করা, কর রেয়াত, শুল্ক রেয়াত করা হয়েছে। অপরদিকে পরোক্ষ করের পরিধি ও মাত্রা বাড়িয়ে সাধারণ মানুষের ওপর ব্যয়ের বোঝা চাপানো হয়েছে। এই বাজেট লুটপাটকে আরও উৎসাহিত করবে, লুটেরা-ধনিকদের আরও ধনী করবে। অন্যদিকে নিঃস্ব হবে সাধারণ মানুষ।
[৫] নেতারা প্রস্তাবিত বাজেট বাতিল করে গণমানুষের জন্য খাদ্য-স্বাস্থ্য-কর্মসংস্থানকে গুরুত্ব দিয়ে নতুন করে বাজেট প্রণয়নের দাবি জানান।
[৬] শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তারা এসব কথা বলেন।
আপনার মতামত লিখুন :