সজিবুল আলম, শাজাহানপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি: [২] বগুড়ার শাজাহানপুরে ৭দিনেও গার্মেন্টস কর্মী মীম আকতার (২০) হত্যার কোন কূল-কিনারা পায়নি থানা পুলিশ।
[৩] গত ৫ জুন শুক্রবার সকাল ১০ টায় উপজেলার বনানী-রানীরহাট লিংক রোড গন্ডগ্রাম বুড়িতলা রাস্তা থেকে মীমের মরদেহ উদ্ধার করে থানা পুলিশ। তাঁর মরদেহে শারীরিক নির্যাতনের চিহৃ পাওয়া যায়। মরদেহ উদ্ধারের পর পুলিশ প্রাথমিক ভাবে ধারণা করে মীম আকতারকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় ৬ জুন শনিবার নিহতের মা খায়রুন্নাহার বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। মামলা দায়েরের ৭ দিন অতিবাহিত হলেও পুলিশ কোন ক্লু উদঘাটন করতে পারেনি।
[৪] মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক(এসআই) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, মামলার ক্লু উদঘাটনে মরিয়া হয়ে কাজ করছে পুলিশ। খুব শ্রীঘ্রই ক্লু উদঘাটন হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
উল্লেখ্য, কাহালু উপজেলার কচুয়া গ্রামের মিন্টুর মেয়ে নিহত মীম আকতার। মীমের বাবা ২য় বিয়ে করে বর্তমানে লালমনিরহাটে সংসার করছে । এর ফলে মীম তার মা ও ছোট ভাই মিলে বগুড়ার ঠনঠনিয়ায় ভাড়া বাসায় থাকে। সংসার চালানোর খরচ যোগাতে মীম এক বছর পূর্বে ঢাকার আশুলিয়ায় যায়। সেখানে একটি গার্মেন্টসে কাজ নিয়ে সংসারের হাল ধরেন। তখন পরিচয় হয় কুড়িগ্রামের রিপনের সাথে। দু’জনের সম্পর্ক গড়ে উঠলে ৫ মাস পূর্বে বিয়ে হয় তাদের। সংসারে বনিবনা না হওয়ায় গত ৩ জুন রিপন মীমকে তালাক দিয়ে ঘর থেকে বের করে দেয়। পরে ৪ জুন বৃহষ্পতিবার সন্ধা ৬ টার দিকে রংপুরগামী বাসে বগুড়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেন মীম। রাত পৌনে ১০ টার দিকে বাসের সুপারভাইজার মীমকে বনানী মোড়ে নামিয়ে দিয়ে রিকশায় তুলে দেয়। এ সময় মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছিল। পরে মীম আর বাড়ি ফিরে যায়নি। পরদিন ৫ জুন সকালে তার মরদেহ পাওয়া যায়। সম্পাদনা: সারোয়ার জাহান
আপনার মতামত লিখুন :