ইসমাঈল ইমু : [২] প্রথম শ্রেণীর বন্দির মর্যাদায় ঢাকার কেরানীগঞ্জে কেন্দ্রীয় কারাগারে আছেন পুলিশের বরখান্ত ও বহুল আলোচিত-সমালোচিত ডিআইজি মিজানুর রহমান। এক বছরের বেশী সময় ধরে তিনি কারাগারে আছেন।
[৩] কারাসূত্রে জানা যায়, খুব ভোরে ঘুম থেকে ওঠেন ডিআইজি মিজান। ফজরের নামাজ আদায় করে পত্রিকা নিয়ে বসেন। দিনের বেশীর ভাগ সময় কারাগারের নিজের ঘরে সময় কাটান তিনি। ডিআইজি মিজান সেখানে বন্দী ও কর্তব্যরত কারারক্ষীদের সঙ্গে খুব কম কথা বলেন। সময়ে সময়ে বিভিন্ন বই ও পেপার পড়েন। এ ছাড়া নিয়মিত নামাজ পড়েন সাবেক এই পুলিশ কর্মকর্তা।
[৪] ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ঘুষ লেনদের বিষয়ে দুটি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এর মধ্যে ঘুষ লেনদের মামলার বিচার শুরু হয়েছে। আর অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলার তদন্ত এখনো শেষ হয়নি। ঘুষ লেনদেনের মামলায় গত ১৯ জানুয়ারি ডিআইজি মিজান ও এনামুল বাছিরের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় দুদক। এর আগে গত বছরের ১৬ জুলাই ডিআইজি মিজান ও এনামুল বাছিরের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।
[৫] মামলার এজাহারে বলা হয়, খন্দকার এনামুল বাছির কমিশনের দায়িত্ব পালনকালে অসৎ উদ্দেশ্যে নিজে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার আশায় ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। ডিআইজি মিজানকে অবৈধ সুযোগ দেয়ার উদ্দেশ্যে তার অবৈধভাবে অর্জিত ৪০ লাখ টাকা ঘুষ হিসেবে নেন। ঘুষের ওই টাকার অবস্থান গোপন করেছেন। এর মাধ্যমে তিনি দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন এবং মানি লন্ডারিং আইনে অপরাধ করেছেন। সম্পাদনা : খালিদ আহমেদ
আপনার মতামত লিখুন :