শরীফ শাওন : [২] সরকারি স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে যারা প্রত্যক্ষভাবে কোভিড-১৯ রোগীদের সেবায় কাজ করেছে, তাদের বিশেষ সম্মানী বাবদ ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
[৩] কোভিড-১৯ মোকাবেলায় দায়িত্ব পালনকালে আক্রান্ত হলে প্রত্যেকের জন্য পদমর্যাদা অনুযায়ী ৫ থেকে ১০ লাখ টাকার স্বাস্থ্যবীমা রাখা হয়েছে। এছাড়াও মৃত্যুজনীত ঘটনায় এর পরিমাণ ৫ গুণ বৃদ্ধি পাবে। স্বাস্থ্যবীমা ও জীবনবীমা বাবদ বরাদ্দ রাখা হচ্ছে ৭৫০ কোটি টাকা।
[৪] অর্থনৈতিক কর্মকান্ড এবং উৎপাদন ব্যবস্থাকে সচল করতে ১ লাখ ১ হাজার ১১৭ কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে, যা জিডিপি’র ৩.৬ শতাংশ। রপ্তানিমুখী শিল্প, ক্ষুদ্র, মাঝারি ও কৃটির শিল্প, কৃষি, মৎস্যচাষ, হাঁসমুরগী ও পশুপালন খাতসহ ১৮টি অর্থনৈতিক খাতকে এসব প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় আনা হয়েছে।
[৫] গত বছরের তুলনায় ২ লাখ মেট্রিক টন বাড়িয়ে ২২.২৫ লাখ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য সংগ্রহ নির্ধারণ করা হয়েছে। এজন্য অতিরিক্ত ৮৬০ কোটি টাকা ব্যয় হবে। ধান কাটা ও মাড়াইয়ে সহায়তার লক্ষ্যে কৃষকদের ভর্তুকি মূল্যে কম্বাইন্ড হারভেস্টর এবং রীপার সরবরাহের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ খাতে ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। এছাড়াও মাত্র ৪ শতাংশ সুদে কৃষকদের জন্য ৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
[৬] রপ্তানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠানের জন্য ৫ হাজার কোটি টাকার ঋণ সুবিধা কার্যকর করা হয়েছে। এসকল কারখানায় যারা কাজে যোগ দিতে পারেননি, তাদের ৬০ শতাংশ বেতন দেয়া নিশ্চিত করা হয়েছে।
[৭] কর্মহীন মানুষের সহায়তায় ১ লাখ ৬২ হাজার ৮৬৭ মেট্রিক টন চাল এবং নগদ ৯১ কোটি ৪৭ লাখ ৭২ হাজার টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
[৮] এছাড়াও ১০ কেজি টাকা দরে বিক্রির জন্য ৮০ হাজার মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। মে মাসে দরিদ্র পরিবারের জন্য অতিরিক্ত ৫০ লাখ কার্ড বিতরণ করা হয়েছে যার মাধ্যমে তাঁরা এই চাল কিনতে পারবেন।
[৯] কর্মহীন তবে কোন সহায়তা কর্মসূচির অন্তর্ভুক্ত নন এমন ৫০ লাখ পরিবারকে আড়াই হাজার টাকা করে মোট ১২শ’৫০ কোটি টাকা দেয়া হয়েছে মোবাইল ব্যাংকিয়ের মাধ্যমে।
[১০] কাজ হারানো যুবক ও প্রবাসীদের সহায়তায় পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক, কর্মসংস্থান ব্যাংক, প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক এবং পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনকে ৫০০ কোটি টাকা করে সর্বমোট ২ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
[১১] স্বল্প আয়ের মানুষদের বিনামূল্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করার লক্ষ্যে ৫ লাখ মেট্রিক টন চাল এবং ১ লাখ মেট্রিক টন গম বরাদ্দ করা হয়েছে। এর মোট মূল্য ২ হাজার ৫০৩ কোটি টাকা।
[১২] শহরাঞ্চলে বসবাসরত নিম্ন আয়ের জনগোষ্ঠীর জন্য ওএমএস-এর আওতায় ১০ টাকা কেজি দরে চাউল বিক্রয় কার্যক্রম চালু করা হয়েছে। আগামী তিন মাসে ৭৪ হাজার মেট্রিক টন চাল এই কার্যক্রমের আওতায় বিতরণ করা হবে। এ জন্য ২৫১ কোটি টাকা ভর্তুকি প্রদান করতে হবে।
[১৩] দিনমজুর, রিক্সা বা ভ্যান চালক, মটর শ্রমিক, নির্মাণ শ্র্রমিক, পত্রিকার হকার, হোটেল শ্র্রমিকসহ অন্যান্য পেশার মানুষ যাঁরা দীর্ঘ ছুটি বা আংশিক লক-ডাউনে কর্মহীনদের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ৭৬০ কোটি টাকা।
[১৪] কওমি মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষকদের জন্য দু-দফায় ১৭ কোটিরও বেশি এবং সারা দেশের মসজিদের ইমাম-মোয়াজ্জিনদের জন্য ১২২ কোটি ২ লাখ ১৫ হাজার টাকা সহায়তা দেয়া হয়েছে। সম্পাদনা : খালিদ আহমেদ
আপনার মতামত লিখুন :