হারুন-অর-রশীদ, ফরিদপুর প্রতিনিধি : [২] ফরিদপুরে জ্বর-কাশি নিয়ে আব্দুল হান্নান (৪৮) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। ওই সময় তিনি ওই ফ্ল্যাটে একাই ছিলেন। ঘরটি ভেতর থেকে বন্ধ ছিলো।
[৩] বৃহস্পতিবার (১১ জুন) দুপুর ২টার দিকে তাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।
[৪] খবর পেয়ে ফরিদপুরের কোতোয়ালি থানার পুলিশ দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে, ওই ব্যক্তিকে চেয়ারে বসা মৃত অবস্থায় ছিলেন।
[৫] মৃত্যু ব্যক্তির গোসল ও কাফন কার্য সম্পাদনে তাকওয়া ফাউন্ডেশন ফরিদপুর জেলা টিমের প্রধান মুফতি মুস্তাফিজুর রহমানকে ফোন করা হয়। তিনি তাকওয়া ফাউন্ডেশন ফরিদপুর টিমের নিবেদিত স্বেচ্ছাসেবীদের নিয়ে লাশের গোসল ও কাফন সম্পাদন করেন।
[৬] মুফতি মুস্তাফিজুর রহমান জানান, এ পর্যন্ত তাকওয়া ফাউন্ডেশন ফরিদপুর টিম ৯টি লাশ গোসল, কাফন, জানাযা ও দাফন সম্পাদনের খেদমত আঞ্জাম দিয়েছেন। যার মধ্যে একজন নারী ও একজন হিন্দু লাশ রয়েছে। যতদিনে কোভিড-১৯ সংকট থাকবে ততদিনে এ তাকওয়া ফাউন্ডেশন মানবতার কল্যাণে নিবেদিত থাকার কথা বলেন তিনি।
[৭] মৃত ব্যক্তি পুষ্টি বিষয়ক বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে টেকনিক্যাল পরিচালক হিসেবে ফরিদপুরে কর্মরত ছিলেন। তার বাড়ি রাজশাহী জেলার পুঠিয়া উপজেলার একটি গ্রামে। তিন মেয়ের জনক তিনি।
[৮] একই প্রতিষ্ঠানের এক কর্মকর্তা জহুরুল ইসলাম জানান, ফরিদপুর শহরের কমলাপুরে তাদের কার্যালয়। তারা মোট ২০ জন এ কার্যালয়ে কর্মরত রয়েছেন। গত পাঁচ দিন ধরে ওই কর্মকর্তা জ্বর, কাশিসহ বিভিন্ন উপসর্গে ভুগছিলেন। এর পর থেকে তাকে বিচ্ছিন্ন করা হয়। প্রতিদিনের মতো ওষুধ ও খাবার নিয়ে গেলে ডাকাডাকি করে কোনো সাড়া না পেয়ে পেয়ে তারা পুলিশে খবর দেয়া হয়।
[৯] ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার এসআই মো. ফোরকান খান বলেন, ধারণা করা হচ্ছে ওই ব্যক্তি কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত ছিলেন। এজন্য অফিসের লোকজন তাকে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছিলো। পরীক্ষার জন্য তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।স্বেচ্ছাসেবীদের মাধ্যমে গোসল, কাফন ইত্যাদি কার্য সম্পাদন করে রাজশাহী তার নিজ বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়া হয়। সম্পাদনা : হ্যাপি
আপনার মতামত লিখুন :