মহিউদ্দিন আহমদ : এক-এগারো দেশের রাজনীতির গোড়া ধরে টান দিয়েছিল। এ নিয়ে একাধিক ডিসকোর্স আছে। ভিকটিমদের এক রকম বয়ান, আর অন্যদের অন্যরকম বয়ান। আমি এর সুলুকসন্ধান করতে চাইলাম। খবরের কাগজ আর ভিকটিমের বয়ানের পাশাপাশি এর উদ্যোক্তা এবং প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ান জরুরি মনে হলো। সেজন্য উড়াল দিলাম যুক্তরাষ্ট্রে। সেখানে আছেন গুরুত্বপূর্ণ তিনজন। ড. ফখরুদ্দীন আহমদ, জেনারেল মইন ইউ আহমেদ এবং ব্রিগেডিয়ার জেনারেল চৌধুরী ফজলুল বারী। আমি ভাগ্যবান। সাক্ষাৎকার নেয়ার ক্ষেত্রে দু’একটা ব্যতিক্রম ছাড়া সবসময়ই সবার সহযোগিতা পেয়েছি।
আমার সাক্ষাৎকারগুলো সবই রেকর্ড করা। আমার প্রথম লক্ষ্য ছিলেন বারী। তাকে ধরার জন্য প্রথমে গেলাম ডালাস। স্কুল থেকে ইউনিভার্সিটি পর্যন্ত একসঙ্গে পড়েছি, এমন একজনের বাড়িতে উঠলাম। বন্ধু তার বাড়ির পুরো দোতলা আমার জন্য ছেড়ে দিল। বারীর সংগে ফোনে কথা হলো। তারপর দেখা। আমার বন্ধু তার গাড়িতে পৌঁছে দিল এক গ্যাস স্টেশনে অপেক্ষমান বারীর কাছে। আমি হাতবদল হয়ে বারীর গাড়িতে উঠলাম। তার সঙ্গে ছিলাম ছয় ঘণ্টা। তিনি গাড়ি চালাচ্ছেন আর কথা বলছেন। আমি শুনছি, প্রশ্ন করছি, রেকর্ড করছি। রাত দশটায় তিনি আমাকে নিয়ে গেলেন একটা মেক্সিকান রেস্তোরাঁয়। খাওয়ালেন।
বন্ধুকে ফোন করলাম। সে এসে আমাকে নিয়ে গেলো।বারীর গাড়িতে ভুলে আমার রেকর্ডার আর চার্জার ফেলে এসেছিলাম। পরদিন একই পদ্ধতিতে আবার মোলাকাত হলো। একইভাবে আবারও কথাবার্তা, টানা চারঘণ্টা। এবার বারী আমাকে পৌঁছে দিলেন বন্ধুর বাসায়। বারীর সঙ্গে আমার অন্তরংগ আলাপ হয়েছে। শুধু প্রাসঙ্গিক বিষয়গুলো বইয়ে উল্লেখ করেছি। এ নিয়ে আরেকটি বই লেখা যায়। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :