শিরোনাম
◈ অবশেষে মার্কিন সিনেটে সাড়ে ৯ হাজার কোটি ডলারের সহায়তা প্যাকেজ পাস ◈ কক্সবাজারে ঈদ স্পেশাল ট্রেন লাইনচ্যুত, রেল চলাচল বন্ধ ◈ ইউক্রেনকে এবার ব্রিটেননের ৬১৭ মিলিয়ন ডলারের সামরিক সহায়তা ◈ থাইল্যান্ডের উদ্দেশ্য রওনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ◈ জিবুতি উপকূলে অভিবাসীবাহী নৌকাডুবিতে ৩৩ জনের মৃত্যু ◈ লোডশেডিং ১০০০ মেগাওয়াট ছাড়িয়েছে, চাপ পড়ছে গ্রামে ◈ এফডিসিতে মারামারির ঘটনায় ডিপজল-মিশার দুঃখ প্রকাশ ◈ প্রথম ৯ মাসে রাজস্ব আয়ে ১৫.২৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন ◈ প্রথম ধাপে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সাত চেয়ারম্যানসহ ২৬ জন নির্বাচিত ◈ বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগ আহ্বান রাষ্ট্রপতির

প্রকাশিত : ১১ জুন, ২০২০, ০৭:৫৬ সকাল
আপডেট : ১১ জুন, ২০২০, ০৭:৫৬ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] প্রধানমন্ত্রীর কাছে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ও বিধবার শেষ ইচ্ছা ১টি ঘর

আশরাফ আহমেদ, হোসেনপুর প্রতিনিধি : [২] দৃষ্টি প্রতিবন্ধী হতদরিদ্র বিধবা আয়শা বেগম (৭৫), পিতা মৃত মুলো মিয়া উপজেলার সিদলা ইউনিয়নের গড়মাছুয়া গ্রামের (জাতীয় পরিচয়পত্র নং- ৭৭৯৬১২৪৩০৮)। তার শেষ ইচ্ছা ও আকুতি প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটি ঘর।

[৩] ৩০ বছর আগে ৩জন ছোট ছোট ছেলে সন্তান রেখে আয়শার স্বামী আমির উদ্দিন মারা গেলে তিনি নিজেই ধরেন সংসারের হাল। অন্যের বাড়িতে কাজ করে সন্তানদের বড় করেন। তবে এখন জুটেনি বিধবা ভাতার কার্ড। সন্তানরা নিজ পরিবারের ভরণ-পোষণ করতেই হিমশীম খায়, সেখানে মায়ের ভরণ-পোষণ করা সম্ভব হয়ে উঠে না। সে জন্য বাধ্য হয়েই অন্যের বাড়িতে কাজ করে তাকে চলতে হয়।

[৪] শরীরে বাসা বেধেছে নানান অসুখ-বিসুখ। তার প্রকৃত বয়স ৭৫ এর বেশি কিস্তু জন্ম নিবন্ধন কার্ডে তার জন্ম সাল ১৯৫৮ সে হিসেবে বর্তমান বয়স ৬২। এত দিন ৬০ বছর পূর্ণ না হওয়ায় মিলেনি বয়স্ক ভাতার কার্ড । তার অভিয়োগ টাকা দিতে না পারায় ভাতার কার্ড । জন্ম থেকে যদি ও একটি চোখ নষ্ট সে হিসেবে অন্তত একটি প্রতিবন্ধি কার্ড পাওয়ার কথা ছিলো কিন্তু তার জোটেনি টাকা দিতে না পারার কারণে। এমনকি কোভিড-১৯ মহামারীতেও পাননি কোনো ধরনের সহায়তা।

[৫] সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, আয়শা বেগমের রান্না ঘরের অর্ধেক অংশ যার দৈর্ঘ্য ৩ ফুট প্রস্তে ৫ ফুট এ রকম জায়গায় একটি চৌকি ফেলে এখানেই খাবার হাড়ি-পাতিল রেখে সেখানেই বসবাস করে আসছেন দীর্ঘ দিন ধরে। এ সময় এ প্রতিবেদকের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে শেষ আবদার জানিয়ে বলেন, এ বয়সে যদি একটি ঘর পেতাম, তবে সে ঘরে অন্তত শেষ জীবনে একটু শান্তিতে ঘুমিয়ে শেখ হাসিনার জন্য দোয়া করতাম।

[৬] হোসেনপুর উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা এহসানুল হক জানান, আয়শা বেগম নামে সমাজ সেবা অধিদপ্তর থেকে কোনো সহায়তা দেয়া হয়নি।

[৭] হোসেনপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মহি উদ্দিন জানান, ঘরের জন্য আবেদন করা হলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আশ্রায়ন প্রকল্পের মাধ্যমে ঘর প্রদানের আশ্বাস দেন।

[৮] হোসেনপুর উপজেলা পরিযদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সোহেল জানান, যেহেতু উনি প্রতিবন্ধি সে হিসেবে আমি প্রতিবন্ধী ভাতার ব্যবস্থা করার চেষ্টা করব। সম্পাদনা : হ্যাপি

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়