শিরোনাম
◈ জাতীয় পতাকার নকশাকার শিব নারায়ণ দাস মারা গেছেন ◈ ইরানের ইস্পাহান ও তাব্রিজে ইসরায়েলের ড্রোন হামলা, ৩টি ভূপাতিত (ভিডিও) ◈ জাতিসংঘে সদস্যপদ প্রস্তাবে মার্কিন ভেটোর নিন্দা ফিলিস্তিনের, লজ্জাজনক বলল তুরস্ক ◈ স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের গল্প-প্রবন্ধ নিয়ে সাময়িকী প্রকাশনা করবে বাংলা একাডেমি ◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ চিকিৎসকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সংসদে আইন পাশ করব: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক

প্রকাশিত : ১১ জুন, ২০২০, ০৭:০৯ সকাল
আপডেট : ১১ জুন, ২০২০, ০৭:০৯ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

শায়রুল কবির খান : শহীদ জিয়ার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা, যুগান্তকারী পদক্ষেপ  

শায়রুল কবির খান : শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান স্যারের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিষয়ে যুগান্তকারী কয়েকটি পদক্ষেপের মধ্যে দিয়ে এই সেক্টরে  কিছু মৌলিক কাজ করেছিলেন। স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিষয়ের গভীর মনোনিবেশ থেকে ১৯৭৬ সালে প্রেসিডেন্ট  ঘোষণা করেন বাংলাদেশের এক নম্বর সমস্যা জনসংখ্যা। তিনি জনসংখ্যাকে জন শক্তিতে রুপান্তর করেন প্রথমে মধ্যপ্রাচ্য শ্রমিক রফতানি করে। এরপর  রফতানিকৃত গার্মেন্ট ইন্ডাস্ট্রির মধ্যে দিয়ে পরিবারে একটি সন্তান জন্মের পর আর একটি সন্তান নয়, দুটি হলে আর সন্তান নয়- শ্লোগানে "আমাদের সুখী পরিবার" পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর।
তখন গরিব জনগোষ্ঠী বছর-বছর সন্তান ধারণ করার প্রবণতা ছিল। তাদের বধ্যমূল ধারণা একটি সন্তান মারা গেলে আর একটি সন্তান সক্ষম হবে। সেসময় গর্ভকালীন ও শিশু জন্মের মৃত্যুর হার বেশি ছিল।  শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের এক অধ্যাদেশে ১৯৭৯ সালে নবজাতকের মৃত্যুর হার নিয়ে (আইসিডিডিআরবি)-র গবেষণায় তৈরী হয় "টিটেনাস টিকা" এই টিকায় নবজাতকের মৃত্যুর হার ৭৫ শতাংশে কমে আসলো।
যুগান্তকারী এই গবেষণার ফল। বাংলাদেশে কার্যকর উদ্যোগের ফলে ১৯৯১ সালে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি সরকারের সময়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, ইউনিসেফ, মা ও শিশু স্বাস্থ্যসেবা "টিটেনাস টিকা" কর্মসূচী গ্রহণ করে। বিশ্ব স্বাস্থ্যসংস্থা ও ইউনিসেফের উদ্যোগে বর্তমানে বিশ্বে প্রায় ১২০টি দেশে এর কার্যক্রম আছে।

বাংলাদেশে বর্তমানে স্বাস্থ্য অর্থনীতি খাতে সার্কভোক্ত দেশের মধ্যে স্বাস্থ্যসেবা খাতে সবচেয়ে কম বজেট বরাদ্দ। হাসপাতালে বড়-বড় ভবন বাড়ছে হচ্ছে কিন্তু সেবা আর চিকিৎসার মান বাড়ছে না যা পরিস্থিতি বিরাজমান কল্পনাও করা কঠিন।

স্বাধীনার পর তলাবিহীন ঝুড়ি রাষ্ট্রকে স্ব-নির্ভর রাষ্ট্রে পরিনত করেছিলেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান।  ১৯৭৭ সালে জুলাই মাসে "জাতীয় জনসংখ্যা গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট প্রতিষ্টা করেন।১৯৭৯ সালে চালু করেন গবেষণা ইউনিট।

১৯৮০ সালে পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের ১২ কর্মী পূর্বের জেলাগুলোকে ২০ এলাকা ভাগ করে কাজের গতি বৃদ্ধি করেন।  ১৯৭৭ সালে প্রথম চাঁদপুর মতলবে "মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্য এবং পরিবার পরিকল্পনা" বিষয়ক কর্মসূচীর সুচনা ঘটে। ১৯৭৭ সালে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান কলেরা রিসার্চ ল্যাবরেটরি ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ডায়রিয়াল ডিজিজ রিসার্চ বাংলাদেশ
(আইসিডিডিআরবি)-র আত্মপ্রকাশ করেন।

কলেরা প্রার্দূভাব দেখা দেবার পর ১৯৭৮ সালে চাঁদপুর মতলবে খাবার স্যালাইনের বড় ধরনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু হয়।
তখন গ্লুকোজের পরিবর্তে সুক্রোজ বা খাবার চিনির ব্যবহার মানুষের মধ্যে আশার আলো জাগায়। প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের নির্দেশে মতলব বাজার থেকে চিনি খাবার সোডা, পটাশিয়াম লবণ কিনে স্হানীয় ভাবে খাবার স্যালাইন তৈরী করে গ্রামবাসীর মাঝে বিতরণ করা হয়।

সেসময় ডাইরিয়া রোগ জীবাণু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি ২৯ শতাংশ কমে যায়। এই ফলাফলের রিপোর্ট প্রকাশিত হয় ১৯৮০ সালের ফেব্রুয়ারীতে "জার্নাল অব ট্রপিক্যাল মেডিসিন এন্ড হাইজিনে"। সরাসরি প্রেসিডেন্টের তদারকিতে ডাক্তার রফিকুল ইসলাম ও তার সহকর্মী নিয়ে ঢাকা কলেরা হাসপাতালে লবণ, গুড়,পানি ব্যবহার করে খাবার স্যালাইন তৈরী করেন। তার ধারাবাহিকতায় ১৯৭৯-৮০ সালে মতলবে প্রায় ২ লাখ মানুষের মাঝে বিতরণ করা হয় যার ফলস্বরূপ ৩০ শতাংশে কমে আসে।

আধুনিক প্রযুক্তিতে খাবার স্যালাইন বর্তমান বিশ্বে কোটি-কোটি মানুষ ব্যবহার করেন। "আইসিডিডিআরবি" প্রতিষ্টা হবার পর থেকে ইনফেকসাস ডিজিজ ডিভিশনে ভিন্ন ধরনের সংক্রমণ রোগের প্রাদূর্ভাবের প্রতিরোধ কমাতে চিকিৎসা এবং নির্মূলে গবেষণা করা হয়। বিগত সময়ে করা হয়েছে কলেরা, রোটা ভাইরাস, পোলিও, ডেঙ্গু জ্বর, ইনফ্লুয়েঞ্জার, জাপানিজ এনকেফেলাইটিস, এইচআইভি ও এইডস,  নিপাহ, টাইফয়েড, কালাজ্বর, ম্যালেরিয়া, যক্ষাসহ অনেক ধরনের রোগের।

দেশের স্বাস্থ্যসেবা খাত নিয়ে আরো একটি বিষয় উল্লেখ করা প্রয়োজন, ২০০১ সালে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি সরকারের সময়ে টিউবওয়েলের পানিতে আর্সেনিক ও ডেঙ্গু মশার সংক্রমণ দেখা দেয়। সারাদেশে টিউবওয়েলের পানি পরিক্ষা কার্যক্রম শুরুর মধ্যে দিয়ে আর্সেনিক টিউবওয়েলে লাল রং দিয়ে চিন্তিতকরণ করা হয়। পাশাপাশি সারদেশের হাসপাতাল গুলোতে আর্সেনিক রোগীর চিকিৎসার মধ্যে দিয়ে সাফল্য আসে। বর্তমানে বাংলাদেশে তেমন আর্সেনিক রোগের লক্ষ্মণ নেই।

পরিকল্পিত ভাবে ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকা ও স্বাস্থ্য মন্ত্রী ডক্টর খন্দকার মোশাররফ হোসেনের নেতৃত্বে ডেঙ্গু মশার সংক্রমণও দমন করতে সক্ষম হয়েছিলেন।  ডেঙ্গুর মশার সংক্রমণ এখন দেখা যাচ্ছে এর দমন কার্যক্রম ধারাবাহিকতা না থাকার ফলেই।

বর্তমানে বৈশ্বিক করোনা ভাইরাস সংক্রমণে মহামারীর মধ্যে আমরা আছি। সরকারের কর্মকান্ড নাগরিকগণ প্রত্যক্ষ  করছেন।

লেখক পরিচিতি : সহ-সভাপতি, জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা- জাসাস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়