এইচএম দিদার, দাউদকান্দি প্রতিনিধি : [২]করোনায় কেমন পোশাক হওয়া চাই।পোশাক এর গুরত্ব কী সেসব নিয়ে হালের সেরা এন্টোপিউনার ও ফ্যাশন ডিজাইনার মিতুল খান তার ব্যবহৃত ফেসবুক টাইম লাইনে একটি লেখা আপলোড করেছেন তা পাঠকের জন্য হুহবু তুলে ধরা হলো:করোনার ছোবলে বিপর্যস্ত গোটা বিশ্ব।এ ধকল থেকে বাঁচতে পৃথিবীর উন্নত দেশগুলো হিমশিম খাচ্ছে।[৩]আমেরিকার ও ইতালির মতো দেশগুলোকে বিশাল কাঁপুনি দিয়ে স্তব্ধ করে দিলো। আর আমরাতো মধ্যম আয়ের দেশ।আমাদের দেশের অবস্থাও দিন দিন খুব খারাপের দিকে চলে যাচ্ছে।সময় যতো যাচ্ছে ততোই ভয়াল রুপে করোনার বিষ বাতাস ধেয়ে আসছে আমাদের দিকে। সেই সাথে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ও মৃত্যর সংখ্যাও বাড়ছে পাল্লা দিয়ে। উকিছু বিজ্ঞানীর অনুমান বর্তমানে কি বিদ্যমান ?
[৪]আমাদের দেশ ,শহর কি আরও ধ্বংসের পথে ?জানিনা এর উত্তর। তবে রাস্তায় বেড় হলে দেখছি ভিড়ের পরিবর্তনে কর্মজীবিরা,কিছু ভ্যানগাড়ি -ফুটপাতে বসেছে সময়সীমা মেনে।
অফিসগুলোতেও বড় সাহেবরা যাচ্ছে। ফুটপাতের কথায় আসি। বড় আশা করে পেটের দায়ে বসেছে। তার স্বাস্থ্য বিধি হলো শুধু নাকের ডগায় একটা মাস্ক।
[৫]মাস্ক ,হ্যান্ডগ্লাভস , মানে করোনার প্রতিরোধক সরঞ্জাম। ব্যবসায় পুরোদেশ চলছে, যে যেভাবে পারছে সুযোগসন্ধানী হয়ে লুটে পুটেও খাচ্ছে। এখন বলি পোষাক ফ্যাশন নিয়ে,
[৬]এক ধরনের পরিবর্তন হচ্ছে সাধারণ পোষাক এর তুলনায় পিপিই মাস্ক, হ্যান্ড গ্লাভস কেপ চশমা আরো কত কী! এই গুলোর সঠিক নাম কেউই উচ্চারণে পরিচিত নয়। ধীরে ধীরে পরিচিত হচ্ছে।
এইসব জিনিস গুলো ফ্যাশন স্টাইলে তৈরি হচ্ছে। দয়া করে কেউ হাসবেন না।কারন আমাদের দেশের আবহাওয়ার যে অবস্থা তাতে বেশিক্ষণ এধরনের করোনা প্রতিরোধক পোষাক পরে থাকা খুবই কঠিন। অস্বস্তিকর।
[৭]আবার কিছু ফ্যাশন হাউজ দেখছি মেনিকিওরকেও সাধারণ পোষাক এর পরিবর্তে পিপিই পরিয়ে রেখেছেন ,তার মানে পোষাক ও ব্যবসার ধরন পরিবর্তনের দিকে। সাধারণ মানুষ এর পোষাক নিয়ে ভাববার সময় নেই , ছোট একটা মাস্ক নাকের ডগায় ঝুলিয়ে রাখছে এতেই কাজ হয়ে যায়।বাকি ভরসা ও আস্থা আল্লাহ'র উপর। ওদের জন্য উপরওয়ালার কৃপায়ই মুক্তির পথ ও কৌশল।
[৮]এই মহামারি করোনা অনেক ভাবেই ছড়াতে পারে ।শুনলাম বিভিন্ন এলাকাকে রঙিন করে দিয়েছে ... লাল ,হলুদ ও সবুজ "জোন"বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। এখন কোয়ারেন্টিনে থাকা ব্যক্তির সংখ্যা অনেক বেশি , পৃথিবীর অনেক জায়গায় এখনো ভূতুড়ে মনে হয় আর আমাদের গণজমায়েত,জনসমাগমপর খড়্গ তো আছেই। যদি বলি,আমরা পরিস্থিতির শিকার।
[৯] দীর্ঘ দিন যদি এমন অবস্থা থাকলে পোষাকের ধরন একেবারেই পরিবর্তনের দিক নিয়ে ভাবতে হবে ও তা কার্যকরে সঠিক ও যুগোপযোগী ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে হবে।হতে পারে-বাসায় পরবার পোষাক,বাইরে বের হবার পোষাক
[১০]কর্মজীবিদের পোষাক।সবার ক্ষেত্রে পোষাক নিয়ে ভাবতে হবে ,অন্যথায় জীবনে আরো ভয়াবহ সংকট ঘনিয়ে আসবে। আমরা আসলেই কেউ এখনো জানিনা কোথায় এর সমাপ্তি। মনে হচ্ছে দীর্ঘ সময় এ লড়াই চালিয়ে যেতে হবে। আল্লাহ্ যেনো আমাদের সেই তৌফিক দিন যেনো জাতি বর্ণ নির্বিশেষে সকলের সতর্কতা ও ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় বৈশ্বিক মহামারিতে বিধ্বস্ততার ধকল সামলে আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারি। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ
আপনার মতামত লিখুন :