আবু লায়েদ :[২] উপজেলার জলঢাকা পৌর এলাকা ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বগুলাগাড়ী গ্রামে। মনোয়ারা ওই গ্রামের মজদুলের মেয়ে।
[৩] পারিবারিক সূত্র জানায়, মনোয়ারা তার স্বামী শরিফুল ইসলামের সঙ্গে ঢাকায় তৈরি পোশাক কারখানায় কাজ করতো। স্বামীর বাড়ি জলঢাকার কাঠালী ইউনিয়নে।
[৪] তারা গত ৫ মে স্বামী স্ত্রী ও সন্তানসহ ঢাকা থেকে রাতের বাসযোগে গ্রামের বাড়ি রওনা দেয়। পথে মনোয়ারা অসুস্থ হয়ে পড়লে তারা রংপুরে নেমে যায় ও মনোয়ারাকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে ৬ মে তাদের নমুনা নেয়া হয়। ৮ মে রংপুর পিসিআর ল্যাবের রিপোর্টের নমুনায় মনোয়ারার পজিটিভ আসে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মনোয়ারার মৃত্যু হয়।
[৫] গতকাল বেলা ১২ টার দিকে ১৩ হাজার টাকায় অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করে মনোয়ার মরদেহ তার স্বামী নিজ গ্রাম বগুলাগাড়ী নিয়ে যাচ্ছিলেন। গ্রামবাসীরা মনোয়ার মরদেহ প্রবেশ করতে দেয়। তাই স্বামী স্ত্রীর লাশ নিয়ে নিজের ইউনিয়ন কাঠালীতে নেয়ার চেষ্টা করে। সেখানেও এলাকাবাসী বাধা দেয়।
[৬] পরে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল ওয়াহেদ বাহাদুরকে অবগত করলে তার হস্তক্ষেপে উপজেলা প্রশাসন ও থানা পুলিশের সহায়তায় ইসলামী ফাউন্ডেশনের নিয়োগকৃত মওলানার মাধ্যমে জানাজা শেষে মাগরিবের পূর্বে জলঢাকা শহরের কেন্দ্রীয় কবরস্থানের শেষ মাথায় আউলিয়াখানা নদীর ধারে মনোয়ারা বেগমের লাশের দাফন করা হয়। সম্পাদনা : মুরাদ হাসান
আপনার মতামত লিখুন :