তরিকুল ইসলাম : [২] বুধবার মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়ে বলেছে, নারী ও শিশুর উপর নির্যাতনের হার বেড়েছে শতকরা ৩১ ভাগ।
[৩] প্রথম বারের মতো সহিংসতার শিকার ১৩১৯ শিশু এবং ২৮৪১ জন নারী। প্রতি ১০ জনে ৬ জন শিশু ও প্রতি ৪ জন নারীর মধ্যে ১ জন নতুন আক্রান্ত।
[৪] মানুষের জন্য নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম বলেন, পারিবারিক সহিংসতার মধ্যে শারীরিক নির্যাতনের শিকার ২০৮৫জন, মানসিক নির্যাতনের শিকার ৪৯৪৭জন, অর্থনৈতিক কারনে ৩৫৮৯ জন এবং যৌন নিপীড়ণের শিকার ৪০৪ জন নারী।
[৫] মোট নিপীড়িত ১১,৩২৩ জন নারীর মধ্যে ১১,০২৫ জন। নারীর প্রতি পারিবারিক সহিংসতা সবচেয়ে বেশি ঘটেছে স্বামীর হাতে।
[৬] মে মাসে পারিবারিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে ১৬২১টি শিশু। নির্যাতিত শিশুদের মধ্যে ১৪৭৭ জন মেয়ে এবং ৬৯৪ জন ছেলে। বাল্যবিয়ে হয়েছে ১৭০ জনের এবং ২৩৩ টি বাল্যবিয়ে থামানো গেছে।
[৭] শিশু ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে ১৯টি, ১৮ জনকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে। ২১ টি অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। এরমধ্যে ১৯ টি মেয়ে বাকি দুজন ছেলে। ১৩ টি মেয়েশিশু ও ৬টি ছেলে শিশুকে হত্যা করা হয়েছে। ত্রাণ আনতে গিয়ে ৩টি মেয়ে যৌন হয়রানির শিকার হয়েছে। মোট ২১৭১ জন শিশু নানাধরণের সহিংসতার শিকার হয়েছে।
[৮] নারীর ও শিশুর প্রতি নির্যাতনের হার বেড়ে চলার এই হার খুব ভয়াবহ উল্লেখ করে শাহীন আনাম বলেন, কোভিড-১৯ এর কারণে সহিংসতা বেড়ে যাওয়ায় স্থানীয় প্রশাসনকে করোনার পাশাপাশি নারী ও শিশুদের সহিংসতার বিষয়ে লক্ষ রাখতে হবে।
[৯] পরিচালিত জরিপে দেশের ৫৩ টি জেলার ৫৩,৩৪০ জন নারী ও শিশুর সাথে ফোনে কথা বলেছে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন। এর মধ্যে ৩৭,৪৩৪ জন নারী ও ১৫,৯০৬ জন শিশু সক্রিয় ভাবে জরিপে অংশ নিয়েছে বলে জানানো হয়। সম্পাদনা : খালিদ আহমেদ
আপনার মতামত লিখুন :