ইমরুল শাহেদ: [২] এখন সাবেক ও বর্তমান সেনা কর্মকর্তারা সরকারে রয়েছেন গুরুত্বপূর্ণ পদে। রাষ্ট্রীয় বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রণ, প্রশাসনিক ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণ এবং এই মহামারীর মধ্যে জাতীয় স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটও তারাই পরিচালনা করছেন। তাদের মধ্যে দু’জনকে গত তিন মাসের মধ্যেই নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ব্লুমবার্গ, টাইমস অব ইন্ডিয়া, এনডিটিভি
[৩] আটলান্টিক কাউন্সিলের অনাবাসিক উর্ধ্বতন ফেলো উজায়ের ইউনুস বলেছেন, সরকার চাকরিরত ও সাবেক সেনা কর্মকর্তাদের নিয়োগ দিয়ে বেসামরিক কর্মকর্তাদের জন্য দেশের উন্নয়ন ও নীতি প্রয়োগের ক্ষেত্রকে সীমিত করে ফেলেছেন। প্রশাসনে সেনাদের প্রকাশ্য ও গোপন শাসন বাড়ছেই।
[৪] সেনারা এই সুযোগ পাওয়ার কারণ হলো, ধীর গতির অর্থনীতি, জিনিসপত্রের দামে উর্ধ্বগতি এবং দুর্নীতির তদন্তে পাওয়া যাচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর নিজের লোকদের। বিশ্লেষকরা বলছেন সেনা সমর্থন তার দলের জন্যই ক্ষতিকর। পার্লামেন্টে তার আসন ৪৬ শতাংশ। তার সরকার জোটের ওপর নির্ভরশীল। তাদেরকে এখন আর ঐকমত্যে রাখা যাচ্ছে না।
[৫] এটা কোনো নতুন ব্যাপার নয়। পাকিস্তানে সেনা বাহিনী সবসময়ই ক্ষমতাধর। দেশটির সত্তর বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি সময় ধরে সেনা বাহিনী দেশটি শাসন করেছে। ২০১৮ সালে ক্ষমতা গ্রহণ কালে ইমরান খান যে নতুন পাকিস্তানের শ্লোগান দিয়েছিলেন সেটা এখনও অনেক দূরে। সম্পাদনা : ইকবাল খান