কল্যাণ বড়ুয়া, বাঁশখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : [২] চট্টগ্রামের বাঁশখালীর উপকুলীয় খানখানাবাদের কদমরসুল পয়েন্টের ভাঙ্গন অবশেষে রোধ হলো স্থানীয় সাংসদের তড়িৎ পদক্ষেপের ফলে। তবে স্থানীয় জনগণ বাঁশখালীর অপরাপর এলাকার মতো স্থায়ী বাঁধ নির্মাণে জোর দাবী জানান।
[৩] প্রতিনিয়ত জোযারের টেউ ভেঙ্গে ঝুঁকিপুর্ণ হয়ে উঠে। এ ভাঙ্গন রোধ করা না গেলে এলাকার কয়েক হাজার বাড়ি-ঘর ও ফসলি জমি হুমকির মধ্যে পড়তো। যার জন্য কদমরসুল এলাকার সাধারণ জনগণ শঙ্কিত ছিলো। খানখানাবাদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ বদরুদ্দিন চৌধুরী এ খবর দ্রুত জানালেন সাংসদ আলহাজ্ব মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীকে। তিনি যে কোনো কিছুর বিনিময়ে বেড়িবাঁধ রক্ষায় কাজ করার জন্য পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী ও পানি উন্নয়ন বোর্ড়ের কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করে। তাতে রক্ষায় হলো বাঁশখালী বাসীর দীর্ঘ দিনের প্রতিক্ষীত বাঁধের ভাঙ্গন।
[৪] সরজমিনে বেড়িবাঁধের ভাঙ্গনস্থল পরিদর্শন কালে দেখা যায় অর্ধশতাধিক শ্রমিক কাজ চালিয়ে যাচ্ছে । তবে স্থানীয় জনগন বাঁশখালীর অপর স্থায়ী রেড়িবাধেঁর সাথে এটাও স্থায়ী করতে সাংসদ ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানায়।
[৫] কদমরসুল এলাকার মোহাম্মদ শোয়াইব জানান, ভাঙ্গনটি রক্ষা করা না গেলে জনগণের ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়তো । জনগণের কথা বিবেচনা করে সাংসদ আলহাজ্ব মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর দ্রুত পদক্ষেপের ফলে ভাঙ্গনটি রোধ হয়েছে, রক্ষা পেয়েছে এলাকার জনগণ ।
[৬] এলাকার সচেতন নাগরিক জিয়াউল হক চৌধুরী বলেন, যা কাজ করা হয়েছে তাতে পানি প্রবেশ রোধ হবে । আগামীতে দ্রুত স্থায়ী বাধঁ নির্মাণ করতে হবে, না হয় আবারো ভাঙ্গনের কবলে পড়বে।
[৭] বাশঁখালীর জনগণের দীর্ঘদিনের দাবীর প্রেক্ষিতে উপকূলীয় বেড়িবাঁধ স্থায়ীভাবে নির্মাণ করার জন্য স্থানীয় সাংসদ আলহাজ্ব মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর ঐকান্তি প্রচেষ্টায় করেছেন। এ কাজে পাউবো ২০১৩ সালে বাঁধের নকশা চূড়ান্ত হওয়ার পর প্রাথমিকভাবে ২০৯ কোটি টাকা বরাদ্দ নির্ধারণ করা হয়। পরে নির্মাণ সামগ্রী দাম বাড়া ও ঠিকাদারদের আপত্তির মুখে ২০১৫ সালে বাঁধ নির্মাণে ২৫১ কোটি ২৯ লাখ ৮৬ হাজার টাকার অনুমোদন দেয় সরকার।
[৮] একদিকে পাউবো কর্মকর্তাদের শহরে বসে তদারকি অন্য দিকে রাজনৈতিক ও জনপ্রতিনিধিদের সাব ঠিকাদারী নিয়ে কাজে অনিয়মের ফলে নিদিষ্ট সময়ে কাজ শেষ করা সম্ভব না হওয়ায় হতাশায় ভোগছে উপকুলীয় জনগণ।
[৯] খানখানাবাদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ বদরুদ্দিন চৌধুরী জানান, বর্তমানে জোয়ারের তোড়ে খানখানাবাদের কদমরসুল পয়েন্টে ভাঙ্গন শুরু হলে, সাংসদ আলহাজ্ব মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর তড়িৎ পদক্ষেপে তা রোধে ১৬৫০টি বালির বস্তা ফেলা হবে। আশা রাখি ভাঙ্গন রোধ হবে অচিরেই। তাতে স্থায়ী রাঁধ নির্মাণে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। পাউবো কর্তৃপক্ষ পরিদর্শন এবং পরিমাণ করে গেছে বলে তিনি জানান।
[১০] পাউবোর উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী প্রমশন চাকমা জানান বাঁশখালীর উপকূলীয় বাঁধের কদমরসুল এলাকায় ভাঙ্গন এলাকায় প্রায় ২২’শ জিও ব্যাগ দেয়া হচ্ছে। জরুরী মুহুর্তে এ কাজ ছাড়া অন্য কিছু করার উপায় নেই বলে তিনি স্থায়ী বাঁধ নির্মাণে পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে বলে জানান।
[১১] বাঁশখালীর সাংসদ আলহাজ্ব মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী বলেন, উপকূলীয় জনগণকে রক্ষা করতে সাড়ে ৩’শ কোটি টাকা বরাদ্দ আনা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে তা বৃদ্ধি করে এখন প্রায় ৪’শ থেকে সাড়ে ৪’শ কোটির কাজ বাঁশখালী উপকুলে বিভিন্ন প্রকল্পে চলমান। যার ফলে, বিগত দিনের কয়েকটি দুর্যোগে কোনো পানি উপকূলে প্রবেশ করতে পারেনি। দু-এক জায়গায় যে সমস্যা রয়েছে তা অচিরেই স্থায়ী বাঁধ করে বাঁশখালী বাসী নিরাপদে রাখব এটা আমার অঙ্গীকার। সম্পাদনা : হ্যাপি
আপনার মতামত লিখুন :