লিহান লিমা: [২] ভারতের ঔষধ বিক্রি ও লাইসেন্স প্রদানকারী সংস্থা (সিডিএসসিও) মানি কন্ট্রোলকে বলেছে, মহারাষ্ট্র সরকারকে রেমডিসিভির দিতে চাওয়া দুই বাংলাদেশি কোম্পনি বেক্সিমকো ফার্মা ও এসকেফে ফার্মাসিউটিক্যাল এর কাছ থেকে রেমডিসিভির রপ্তানি করার অনুমোদনের জন্য আবেদনপত্র পান নি তারা। মানি কন্ট্রোল
[৩] নাম প্রকাশ না করা করার শর্তে এক কর্মকর্তা বলেন, রেমডিসিভির রপ্তানির লাইসেন্স চেয়ে বাংলাদেশের কোনো কোম্পানির কাছ থেকে আমরা আবেদনপত্র পাই নি। যে দুই কোম্পনি মহারাষ্ট্র সরকারকে রেমডিসিভির সরবরাহ করার প্রস্তাব দিয়েছে তা সিডিএসসিও এর কাছে অনিবন্ধকৃত।’ ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, বর্তমানে আমরা এখন ভারতের ঔষধ উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলোর আবেদনপত্র যাচাই-বাছাই করছি। তাকে কিছু সময় লাগতে পারে।
[৪] এর আগে মুম্বাই মিরর এর প্রতিবেদনে বলা হয়, মহারাষ্ট্র সরকারের কাছে বেক্সিমকো রেমডিসিভিরের প্রতি ভায়াল ৫ হাজার রুপিতে বিক্রির প্রস্তাব দিয়েছে। মহারাষ্ট্র সরকার নিজ থেকেই এই ঘোষণা দেয়।
[৫] মহারাষ্ট্র সরকার এমন এক সময় এই ঘোষণা দিয়েছে যখন ভারতের তিন কোম্পািন-কিপলা, হিটেরো ও জুবিল্যান্ট লাইফ সায়েন্স ভারতের ঔষধ নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছে তাদের ঔষধ বিক্রির অনুমোদনের জন্য অপেক্ষা করছে। এই তিন কোম্পানিরই ১২৭টি নিন্ম ও মধ্য আয়ের দেশে ঔষধ উৎপাদন ও সরবরাহের জন্য মার্কিন কোম্পানি গিলিয়ার্ডের নিবন্ধন আছে। ভারতে রেমডিসিভিলের একমাত্র পেটেন্ট আছে গিলিয়ার্ডের।
[৬] মানি কন্ট্রোলকে গিলিয়ার্ড বলেছে, তারা বাংলাদেশের এসকেফে ফার্মাসিউটিক্যাল বা বাংলাদেশের কোনো কোম্পানিকেই ভারতে রেমডিসিভির উৎপাদন বা সরবরাহের অনুমোদন দেয় নি। তারা আরও জানায়, গিলিয়ার্ড এই পণ্যটির সত্যতা বা কার্যকারিতা সম্পর্কে মন্তব্য বা যাচাই করতে পারে না। কারণ গিলিয়ার্ড বা আমাদের লাইসেন্সপ্রাপ্ত কোনো অংশীদার দ্বারা উৎপাদন করা হয় নি।
[৭] এদিকে মহারাষ্ট্র সরকারের জরুরি ভিত্তিতে বাংলাদেশ থেকে দশ হাজার ভায়াল রেমডিসিভির কেনার সিদ্ধান্ত নিয়ে ভারতেও বিতর্ক তৈরি হয়েছে। সম্পাদনা : ইকবাল খান
আপনার মতামত লিখুন :