শিরোনাম
◈ জাতিসংঘে সদস্যপদ প্রস্তাবে মার্কিন ভেটোর নিন্দা ফিলিস্তিনের, লজ্জাজনক বলল তুরস্ক ◈ স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের গল্প-প্রবন্ধ নিয়ে সাময়িকী প্রকাশনা করবে বাংলা একাডেমি ◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ চিকিৎসকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সংসদে আইন পাশ করব: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের

প্রকাশিত : ১০ জুন, ২০২০, ০৬:৪৯ সকাল
আপডেট : ১০ জুন, ২০২০, ০৬:৪৯ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] সিআইডির ডিএনএ ব্যাংকের কার্যক্রম শুরু

সুজন কৈরী : [২] সিআইডির ডিএনএ ল্যাবরেটরি নাম পরিবর্তন করে ডিএনএ ব্যাংক নামে কার্যক্রম শুরু করেছে।

[৩] ২০১৭ সালের ২৩ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিআইডির ফরেনসিক ডিএনএ ল্যাবরেটরি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্ভোধন করেন। এরপর থেকে এই ল্যাবরেটরি ধর্ষণ, অজ্ঞাত মৃতদেহ শনাক্তকরন, পিতৃত্ব বিরোধ, ডাকাতি, হত্যাসহ প্রায় ৬ হাজার মামলার বিপরীতে ১৬ হাজারের বেশী আলামত থেকে ২০ হাজার ডিএনএ প্রোফাইলিং করা হয়েছে, যা ল্যাবরেটরি ইনফরমেশন
ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের সার্ভারে সংরক্ষিত আছে।

[৪] সিআইডি জানিয়েছে, আদালতের আদেশে ২০১৪ সালের জানুয়ারি থেকে ডিএনএ প্রোফাইলিংয়ের কার্যক্রম শুরু হয়। ফরেনসিক ডিএনএ ল্যাবরেটরি অফ বাংলাদেশ পুলিশের প্রথম আলামত গ্রহন করা হয় ওই বছরের ১৫ই জানুয়ারী।

[৫] ডিএনএ ব্যাংক বলতে বোঝায় দীর্ঘস্থায়ীভাবে সংরক্ষিত প্রতিটি ব্যক্তির ডিএনএ প্রোফাইল করা। ২০১৪ থেকে ২০২০ পর্যন্ত মোট সংগৃহীত মামলার সংখ্যা প্রায় ৬ হাজার। ডিএনএ ব্যাংকে সংরক্ষিত অপরাধীদের প্রোফাইল পরবর্তীতে ওই একই ব্যাক্তিকে শনাক্ত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই পর্যন্ত বিভিন্ন মামলার সাথে সম্পর্কিত প্রায় ১৫ হাজার প্রোফাইল ডিএনএ ব্যাংকে সংরক্ষিত আছে। যার মাধ্যমে পরবর্তীতে খুব সহজেই সন্দিগ্ধ ব্যাক্তিকে শনাক্ত করা সম্ভব।

[৬] ফরেনসিক ডিএনএ ল্যাবরেটরিতে সংরক্ষিত অপরাধীদের ডিএনএ প্রোফাইল তদন্তকার্যক্রমে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ফৌজদারী ও দেওয়ানী মামলা সংক্রান্ত সকল আলামতের বিশ্লেষণ ফরেনসিক ডিএনএ ল্যাবে হয়ে থাকে। অদ্যবধি ডিএনএ ল্যাব সিআইডি এর সহায়তায় বাংলাদেশ পুলিশ অসংখ্য ফৌজদারি ও দেওয়ানী মামলা সমাধান করতে সফল হয়েছে। বর্তমানে ফরেনসিক ডিএনএ ল্যাব দেশের বিভিন্ন কোর্ট, থানা হতে আগত শতাধিক মামলা গ্রহণ করে থাকে এবং নিদিষ্ট সময়ের মধ্যে রিপোর্ট প্রদান করে থাকে।

[৭] ডিএনএ ডাটাবেজে সংরক্ষিত ডিএনএ প্রোফাইলগুলো বিশ্লেষণ করে নিখোঁজ বা অজ্ঞাত কোন ব্যক্তিকে শনাক্তকরণ করা সম্ভব হয়, যদি অজ্ঞাত বা নিখোঁজ ব্যাক্তির দাবিদার কিংবা আত্মীয়-স্বজন পাওয়া যায়।

[৮] জাপান সরকারের জেডিসিএফর অর্থায়নে ফরেনসিক ডিএনএ ল্যাবরেটরি অফ বাংলাদেশ পুলিশ শীর্ষক প্রকল্পের কার্যক্রম আগষ্ট ২০১১ সালে শুরু হয়ে ২০১৫ সালের জুনে শেষ হয় । সম্পাদনা : খালিদ আহমেদ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়