রহিদুল খান, যশোর প্রতিনিধি : [২] বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) এই সিদ্ধান্ত জানিয়েছে।
যাত্রীদের কোভিড-১৯ থেকে ঝুঁকিমুক্ত রাখার জন্য ইতোমধ্যেই স্থানীয়ভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এয়ারপোর্ট টারমিনালের বাইরে স্থাপন করা হচ্ছে অস্থায়ী মেডিকেল বুথ। এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষগুলোও তাদের মতো করে নিরাপত্তাসহ অন্যান্য প্রস্তুতি নিয়েছে।
[৩] দেশে কোভিড-১৯ এর প্রেক্ষাপটে সরকার যাত্রীবাহী সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ করে দেয়ায় অন্য রুটগুলোর মতো যশোর-ঢাকা পথেও যাত্রীবাহী ফ্লাইট চলাচল বন্ধ হয়ে যায় গত ২৫ মার্চ। দুই মাসেরও বেশি সময় বন্ধ থাকার পর গত ১ জুন ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট এবং সৈয়দপুর এয়ারপোর্ট খুলে দেয়া হয়।
যশোর, রাজশাহী, কক্সবাজার ও বরিশাল। যাত্রীদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি মোকাবেলায় যথেষ্ট পদক্ষেপ নিতে না পারায় এই ৪টি এয়ারপোর্ট চালু করা যায়নি বলে জানিয়েছেন বেবিচক।
[৪] বেবিচকের চেয়ারম্যান মো. মফিদুর রহমান বলেন, ১১ জুন থেকে যশোর রুটে নিয়মিত ফ্লাইট চালুর সিদ্ধান্ত হয়েছে। কোভিড-১৯ এর মোকাবেলায় স্বাস্থ্য বিষয়ক নির্দেশনা মেনে উড়োজাহাজ যোগাযোগ চালু করতে বিমানবন্দরগুলোতে চিকিৎসক ও চিকিৎসা সরঞ্জামের প্রয়োজন হয়। আমরা স্থানীয় প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে সেই সাপোর্টটা পাচ্ছিলাম। না বলে অভ্যন্তরীণ কয়েকটি রুটে ফ্লাইট চলাচলের অনুমতি দিতে পারছিলাম না। সৈয়দপুর এটা নিশ্চিত করেছিলো বলে ফ্লাইট চলাচলের অনুমতি পেয়েছে। যশোরও এটা নিশ্চিত করবে বলে জানানোয় তারা ফ্লাইট চলাচলের অনুমতি পেল।'
[৫] যশোর এয়ারপোর্ট ম্যানেজার মো. মাসুদুল হক বলেন, ১১ তারিখ থেকে ফ্লাইট চলাচলের অনুমোদন ইতোমধ্যে তারা পেয়েছেন। এর জন্য দরকারি ব্যবস্থাও নেয়া হয়েছে।
[৬] তিনি বলেন, এয়ারপোর্টে একটি মেডিকেল টিমের উপস্থিতির বিষয়টি সবচেয়ে বিশি প্রয়োজন। স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে ইতোমধ্যে মেডিকেল টিম দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। মেডিকেল টিম কাজ করবে টারমিনাল ভবনের বাইরে নির্মাণ করা হচ্ছে একটি অস্থায়ী কক্ষ। গ্লাস দিয়ে ওই কক্ষ নির্মাণ করা হচ্ছে।
[৭] 'প্রায় ৫০ বর্গফুটের ওই কক্ষে থাকা মেডিকেল টিম থার্মাল স্ক্যানারের মাধ্যমে যাত্রীদের শরীরের তাপ মাপবে। আমাদের কাছে একটি থার্মাল স্ক্যানার আছে। এয়ারলাইন্স কোম্পানিগুলোও স্ক্যানার সরবরাহ করবে বলে জানিয়েছে। আর স্বাস্থ্য বিভাগ থেকেও জানানো হয়েছে, তাদের হাতে এখন স্ক্যানার না থাকলেও তা আনার ব্যবস্থা করা হচ্ছে,' বলছিলেন মাসুদুল হক।
[৮] ম্যানেজার জানান, প্রতিটি ফ্লাইট ওঠা-নামার পর টারমিনাল ভবন জীবাণুমুক্ত করা হবে। টারমিনাল ভবনের বাইরে সাবান দিয়ে যাত্রীদের হাত ধোয়ার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। বেবিচক থেকে দেয়া নির্দেশনাগুলো মান্য করবে স্ব-স্ব এয়ারলাইন্সের কর্তৃপক্ষ।
[৯] যশোরের সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন বলেন, এয়ারপোর্টে দায়িত্ব পালনের জন্য ইতোমধ্যে মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। দুই শিফটে দুটি টিম কাজ করবে। প্রত্যেক টিমে একজন ডাক্তারের নেতৃত্বে তিনজন কর্মরত থাকবেন। অন্য দু’জনের একজন হলেন- মেডিকেল অ্যাসিসট্যান্ট, অন্যজন স্বাস্থ্য সহকারী।
[১০] এয়ারপোর্টে ব্যবহারের জন্য যশোরে বাড়তি হ্যান্ড থার্মাল স্ক্যানার ছিলো না। স্বাস্থ্য মহাপরিচালকের দপ্তর থেকে দুটি স্ক্যানার যশোরে পাঠানো হয়েছে। এর একটি বেনাপোল ইমিগ্রেশনে, অন্যটি এয়ারপোর্টে ব্যবহার করা হবে।
[১১] এদিকে, এয়ারলাইন্স কোম্পানিগুলো যশোরে ফ্লাইট পরিচালনায় প্রস্তুতি নিয়েছে জানিয়ে এয়ারপোর্ট ম্যানেজার জানান, তাদের ফ্লাইট শিডিউল আজকের মধ্যে পাওয়া যাবে। সম্পাদনা : হ্যাপি
আপনার মতামত লিখুন :