শিরোনাম
◈ যুক্তরাষ্ট্র সরে এলে বিশ্বরাজনীতিতে নেতৃত্ব দেবে কে: বাইডেন ◈ মিয়ানমার সেনাসহ ২৮৮ জনকে ফেরত পাঠালো বিজিবি ◈ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় বিএনপির ৬৪ নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ ◈ বর্ধিত ভাড়ায় ট্রেনের আগাম টিকিট বিক্রি শুরু ◈ বাড়ছে না শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি ◈ মা হিসেবে পূর্ণ অভিভাবকত্ব পেয়ে দেশের ইতিহাসে নাম লেখালেন অভিনেত্রী বাঁধন ◈ আরও তিন মামলায় জামিন পেলেন মামুনুল হক ◈ সাজেকে ট্রাক খাদে পড়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৯ ◈ তাপপ্রবাহে উচ্চ স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে শিশুরা,  বাড়তি সতর্কতার পরামর্শ ইউনিসেফের ◈ মন্ত্রী ও এমপিদের নিকটাত্মীয়রা প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করলে সময়মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে: ওবায়দুল কাদের 

প্রকাশিত : ১০ জুন, ২০২০, ০৮:১৬ সকাল
আপডেট : ১০ জুন, ২০২০, ০৮:১৬ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

দেশে প্রতি দশ লাখ মানুষে চার শতাধিক কোভিড রোগী

ডেস্ক রিপোর্ট : দেশে প্রতি ১০ লাখ মানুষের মধ্যে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ৪০০ জনের বেশি। ঢাকা মহানগরে এই সংখ্যা দুই হাজার ৪৮৯ জন। এর বাইরে প্রতি ১০ লাখ মানুষের মধ্যে শতাধিক করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে ২১ জেলায়। এর মধ্যে ঢাকা বিভাগেই রয়েছে ১০টি জেলা। জেলাগুলোর মধ্যে রোগী শনাক্তের হার সবচেয়ে বেশি নারায়ণগঞ্জ ও মুন্সীগঞ্জে। নারায়ণগঞ্জে প্রতি ১০ লাখে ৭৬৯ জন এবং মুন্সীগঞ্জে ৬৬১ জন শনাক্ত হয়েছে। এ ছাড়া প্রতি ১০ লাখে দুইশর বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে ৭ জেলায়।

গতকাল মঙ্গলবার প্রকাশিত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) সর্বশেষ বাংলাদেশ কোভিড-১৯ সিচুয়েশন রিপোর্ট-১৪ পর্যালোচনা করে এসব তথ্য জানা গেছে। গত সোমবার পর্যন্ত দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের চিত্র পর্যালোচনা করে এ রিপোর্ট তৈরি করেছে ডব্লিউএইচও। তাদের সিচুয়েশন রিপোর্ট বলছে, ৮ জুন পর্যন্ত দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৬৮ হাজার ৫০৪ জন। এই হিসাবে প্রতি ১০ লাখে আক্রান্ত ৪০২ দশমিক ২ জন। তাদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১৪ হাজার ৫৬০ জন, মারা গেছেন ৯৩০ জন। সুস্থতার হার ২১ দশমিক ৩ শতাংশ এবং মৃত্যু হার ১ দশমিক ৩৬ শতাংশ।

রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রতি ১০ লাখে শতাধিক রোগী শনাক্ত হওয়া জেলাগুলোর মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১০ জেলা, চট্টগ্রাম বিভাগে ৬, ময়মনসিংহ বিভাগে ৩, সিলেট ও রংপুর বিভাগে একটি করে জেলা রয়েছে। প্রতি ১০ লাখে ছয় শতাধিক রোগী শনাক্ত হয়েছে মুন্সীগঞ্জ ও নারায়ণগঞ্জ জেলায়। দুই শতাধিক রোগী শনাক্ত হয়েছে গাজীপুর (২৯৮.৫ জন), ঢাকা (২৬২.৫ জন), ও গোপালগঞ্জে (২২৭.২ জন)। চট্টগ্রাম বিভাগে প্রতি ১০ লাখে দুই শতাধিক রোগী শনাক্ত হয়েছে কক্সবাজার (৩৫৭.৯ জন), চট্টগ্রাম (৩৪৫.৮ জন) ও নোয়াখালী (২৩৫.৪ জন) জেলায়। এ ছাড়া শতাধিক রোগী শনাক্ত হওয়া অন্য জেলাগুলোর মধ্যে কুমিল্লায় ১৮৯.৩ জন, ফরিদপুরে ১৮৭.৯, ফেনীতে ১৭০.৬, সিলেটে ১৬৬.৫, মাদারীপুরে ১৬২.৫, রংপুরে ১৫১.৫, শরীয়তপুরে ১১৪.৯, জামালপুরে ১১২.৯, বান্দরবানে ১০৬.৭, কিশোরগঞ্জে ১০৪.৬, নেত্রকোনায় ১০৪.৩, ময়মনসিংহে ১০২ এবং মানিকগঞ্জে ১০১.৪ জন রয়েছে।

ডব্লিউএইচওর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের সাবেক উপদেষ্টা মোজাহেরুল হক আমাদের সময়কে বলেন, এখন আমাদের মনে রাখতে হবে দেশে করোনার সংক্রমণ বাড়ছে এবং সেটি খুব দ্রুত গতিতে বাড়ছে। এখন মৃত্যুর সংখ্যাও বাড়ছে। এ পরিস্থিতিতে সরকার বিভিন্ন এলাকাকে জোনভিত্তিক ভাগ করার যে উদ্যোগ নিয়েছে সেটি ইতিবাচক। এটি বাস্তবায়ন করা উচিত ছিল অনেক আগেই। তবে এখন কী কৌশলে সরকার এটি গ্রহণ করবে তা জানা সম্ভব হয়নি। এখন জোনভিত্তিক বিভাজন ছাড়া সরকারের আর কোনো বিকল্পও নেই। তাই এটি বাস্তবায়নের জন্য একটি কৌশল ও পদ্ধতি নির্ধারণ করতে হবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়