আজম খান : আমার বাপ যদি অসুস্থ হয় তাইলে সে আইসিউ পাবে না। সে সারা জীবন পরোক্ষ-প্রত্যক্ষ দুইটা ট্যাক্সই দিয়া আসছে। পাবে হইলো শফি হুজুর। যে অন্যের দান খয়রাতে খাওয়া ছাড়া কিছু করে নাই। রাষ্ট্রে যার এক পয়সার অবদান নাই। তারও চিকিৎসার অধিকার আছে। কিন্তু তারে প্রায়োরিটি দিয়ে চিকিৎসা দেয়ার কিছু নাই। যদি প্রায়োরিটি পায় তাইলে পাবার কথা এই দেশের মানুষের যাদের রাষ্ট্রে অবদান আছে।
কিন্তু আমার বাপ চিকিৎসা না পায়া মরবে আর এরকম অপদার্থ আইসিউতে এসির বাতাস খাইতে খাইতে মরবে এইটা কোন বিচার! এইসব কথা শুধু শফীই না, বাংলাদেশের বাটপার রাজনীতিবিদগুলার ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। স্বাস্থ্যখাতের ১২টা তো স্বাধীনতার পর থেকে জিয়া-এরশাদ সামরিক সরকার, বিএনপি জামায়াত সরকার, আওয়ামি লীগ-সহ সব আমলেই রাজনীতিবিদ, সামরিক-বেসামরিক আমলারা বাজাইছেন। কিন্তু তারা কেউ অসুস্থ হইলে আইসিউ ছাড়া মরবেন না।
গ্যারান্টেড। অথচ, এই দেশের মানুষের ১২টা বাজায়া ছাইড়া দিছেন এইটা এখন হাড়েহাড়ে বুঝা যাইতেছে। একুশ তাপাদ্দর ভাইয়ের মা মারা গেলো। রাইতের চারটায় আকুতি মিনতি করলেন আইসিউ চায়া। পাইলেন না। আমার বাপ-মা অসুস্থ হইলে আমারেও আকুতি মিনতি কইরা পোস্ট দিতে হবে। আপনার বাপ-মা অসুস্থ হইলেও তাই করতে হবে এবং চোখের সামনে তাদের মৃত্যু দেখতে হবে। এই সিস্টেম যারা বানাইলো তারা এই সিস্টেমের বলি হবে না। হবে আপনার আমার বাপ-মা। সময় এসে গেছে। এখন মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছি। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :