দীপু তৌহিদুল : দলীয় রাজনীতি করা ডাক্তাররা করোনা রোগীদের সেবা রেখে দলবাজি, তেলবাজি আর নিজের আঁখের গুছিয়ে নিতে গিয়ে ডা. জাফরুল্লাহ ও ডা. ফেরদৌসকে অপমানিত করেছেন। বৃদ্ধ ডা. জাফরুল্লাহ নিজের প্রাণের পরোয়া না করে ঘর থেকে বের হয়ে এসেছিলেন বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের প্রাণ বাঁচানোর চেষ্টা করতে, তাকে প্রশাসন ও সরকার সমর্থক দলীয় ডাক্তাররা যা করেছে তা নোংরা ইতিহাস হয়ে থাকবে। বিশেষ ফ্লাইটে যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফেরা ১২৮ জনের মধ্যে একজন ছাড়া সবাইকে হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে। যে একজনকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রবাসী চিকিৎসক ফেরদৌস খন্দকার। তাকে খন্দকার মোশতাকের আত্মীয়, রশিদের আত্মীয় ইত্যাদি ট্যাগ করে ফাঁসিয়ে দেবার চেষ্টাও করা হয়েছে, এমনকি সঙ্গে আনা ৮টি সুটকেস আটক করেছে কাস্টম কর্মকর্তারা। মাস্ক, গ্লাভস ও পিপিই ভর্তি এসব সুটকেসের জন্য শুল্ক দাবি করে আটকে দেওয়া হয়েছে।
ডা. জাফরুল্লাহ ও ডা. ফেরদৌসকে যারা বেইজ্জুত করেছে তারা সবাই একই ঘরানার এবং করোনা মহামারীতে রাষ্ট্রের কোনো কিছুতেই তাদের কোনো অবদান নেই। এদের কাজই হচ্ছে নোংরা রাজনীতি করে নিজের আঁখের গুছিয়ে নেয়া এবং তারা সেটা আন্তরিকভাবে করছেও। ভাবুন করোনা রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিয়ে কোনো ডাক্তারের পক্ষে নোংরা রাজনীতি/কূটচালি/তেলবাজি করার জন্য হাতে সময় থাকতে পারে? তাহলে কোনো কোনো ডাক্তাররা এসব কু-কাজ করছে সেটা নিয়ে ভাবতে গেলেই সরকার দলীয় রাজনীতি করাদেরই দিকে নজর চলে যায়।
এরা নিজেরা নিরাপদ থেকে টক শো/গণমাধ্যম আর সোশাল মিডিয়াতে নোংরামি করেই যাচ্ছে। আগে শুনতাম কাক নাকি কাকের মাংস খায় না, আর এখন দেখলাম ডাক্তাররা তাদের পেশার লোকজনের মাংস ঠিকই খেয়ে নিচ্ছে ক্ষতি করার মাধ্যমে। এরা শিখিয়েছেন পেশাগত দিক হতে ডাক্তারি পেশাটা আর আগের মতন নেই। এই পেশা রাজনীতিকরণের মাধ্যমে পুরোপুরি কুলুষিত হয়ে গিয়েছেÑ যা জাতির জন্য দুঃখজনক। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :