শিরোনাম
◈ ভুটানের রাজার সঙ্গে থিম্পু পৌঁছেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ চট্টগ্রামের জুতার কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত : ১০ জুন, ২০২০, ০৬:০০ সকাল
আপডেট : ১০ জুন, ২০২০, ০৬:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মাসুদ রানা : বাংলায় ক্রিয়া ও প্র-ক্রিয়া প্রসঙ্গে : ‘টয়লেট করা’ বনাম ‘হাগা’!

মাসুদ রানা : বাংলাভাষীদের মধ্যে লিঙ্গুয়িস্টিক্সে বড়ো ডিগ্রিধারী লোকের সংখ্যা কম হওয়ার কথা নয়। কিন্তু যার অভাব, তা হলো বাংলাভাষায় লিঙ্গুয়িস্টিক্স ভাষাতত্ত্বের বিভিন্ন শাখায় নতুন-নতুন গবেষণা ও তাদের সৃষ্টিশীল প্রয়োগজাত সমৃদ্ধি। জেনেছিলাম, প্রয়াত হুমায়ূন আজাদের পিএইচডি ছিলো লিঙ্গুয়িস্টিক্সে। তিনি খ্যাতিমান লোক ছিলেন নিঃসেন্দেহ। কিন্তু তিনি কি লিঙ্গুয়িস্টিক্সে অবদান রাখার জন্য খ্যাতিমান হয়েছিলেন?
হুমায়ূন আজাদের বেশ কয়েকজন ভক্তকে প্রশ্ন করেছিলাম, তার খ্যাতির কারণ কী জানতে চেয়ে। উত্তরে এক ভক্ত বললেন, ‘তিনি ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের এবং মৌলবাদ বিরোধী।’ বাঙালি হয়ে মুক্তিযুদ্ধে স্বজাতির পক্ষে ও ধর্মীয় মৌলবাদের বিপক্ষে থাকা আমার জন্য শ্রদ্ধেয় ও গুরুত্বপূর্ণ হওয়ার পরও, এর সাথে আমি লিঙ্গুয়িস্টিক্সে পা-িত্যের কোনো প্রত্যক্ষ সম্পর্ক দেখি না। অন্যেরা কী বোধ করেন জানি না, তবে আমি বেশ অভাব বোধকরি বাংলাভাষায় সৃষ্টিশীল গবেষণা এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিসরে এ-ভাষার বিকাশমান প্রয়োগ ও সমৃদ্ধির।

 

মাঝে-মাঝে বিশ্বপরিসরে কোনো-কোনো অবাঙালি প-িতের দারুণ আগ্রহ দেখি বাংলাভাষা ও বাঙালা সাহিত্য নিয়ে। বিষয়টি আমাকে বেশ ভালোই ভাবায়। আমি যখন বাংলাভাষা ও সাহিত্য নিয়ে অবাঙালি প-িতদের আগ্রহ ও অন্তর্দৃষ্টি এবং উপলব্ধি ও তত্ত্বায়ন-সূত্রায়ন দেখি, তখন তা আমাকে শুধু বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে সমৃদ্ধ ও মুগ্ধই করে না, বাঙালি হওয়ার কারণে আমার আবেগেও আবেদন তৈরি করে।
সম্প্রতি ঔধসবং গ ডরষপব নামের এক মার্কিন গবেষক বাংলাভাষার ‘capacity to form compound verbs using nouns or adjectives [other languages] and the Bengali pro-verb kar do’-এর কথা বলেছেন।
লেখক যদিও ইংরেজী-বাংলার উদাহরণ দিননি, কিন্তু আমরা জানি এই ‘কর’ প্র-ক্রিয়াটি (ঢ়ৎড়-াবৎন) ইংরেজী শব্দের সাথে যুক্ত হয়ে আমাদের প্রকাশ ক্ষমতা কতোটুকু বৃদ্ধি করেছে : টাইপ কর/করা; চ্যালিঞ্জ কর/করা, টেস্ট কর/করা, পার্টি কর/করা, পলিটিক্স কর/করা, ড্রাইভ কর/করা, টিকেট কর/করা ইত্যাদি। কর ছাড়াও আছে মার।

 

যেমন, বোমা মার/মারা, ফেইল মার/মারা, বাউ-ারি মার/মারা, পকেট মার/মারা, লৌন মার/মারা, স্ট্যাম্প মার/মারা, সীল মার/সীল মারা, জাম্প মার/মারা ইত্যাদি।
তবে, বাংলায় কার্যক্ষমতা বৃদ্ধির জন্যে দেশি-বিদেশি অন্য পদের সাথে ‘কর’ বা ‘মার’ প্র-ক্রিয়া যুক্ত করে যৌগিক ক্রিয়া তৈরি করা উচিত নাকি ভার্বের ইনফ্লিকটর হিসেবে প্রত্যয় যোগ করা উচিত , তা নিয়ে তর্ক হতে পারে। কারণ, যৌক্তিবক ক্রিয়া আয়স-সাধ্য। যেমন, সংস্কৃত ‘প্রস্রাব’ বিশেষ্য ভিত্তিক ‘সে প্র¯্রাব করছে’ থেকে ‘মুত’ ক্রিয়া ভিত্তিক ‘সে মুতছে’ ইনফ্লিকশন সহজ, যদিও সংস্কারগত কারণে শ্রুতিকটু। একইভাবে, বিদেশি ‘টয়লেট’ বিশেষ্য ভিত্তিক ‘তিনি টয়েলট করছেন’ থেকে ‘হাগ’ ক্রিয়া ভিত্তিক ‘তিনি হাগছেন’ সহজ - যদিও ব্যবহারের শুরুতে প্রচুর হাসাহাসি হবে। ০৮/০৬/২০২০। ল-ন, ইংল্যা-

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়