ইসমমাঈল ইমু : [২] আমেনা বেগমকে গ্রেপ্তার করেছে পিবিআই। সে জানায়, ঘটনার দিন ৯ মে রাতে ইবাদ শেখ অনেক মাদক সেবন করেছিল। তারা দুজনই দুধের সঙ্গে যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট সেবন করেছিলো। এক পর্যায়ে সে ঘর থেকে তাকে ধাক্কা দিয়ে বের করে দেয়। বাইরে গাছের সঙ্গে মাথায় আঘাত লেগে ঘটনাস্থলে সে মারা যায়। আমেনা লাশের গলায় গামছা বেঁধে সুপারি গাছে বাঁধা বাঁশের সঙ্গে লাশটি ঝুলিয়ে দেয়। মসজিদের মাইকে সেহরী খাওয়ার জন্য ডাকাডাকি শুরু হলে সে ঘরে চলে যায়। কালিয়ার আমতলা গ্রামে আমেনার বাবার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
[৩] ইবাদের বাড়ি কালিয়া থানার ফুলদহ গ্রামে। ওই রাতে আমেনার কাছে ২ জন খরিদ্দার যোগাযোগ করছিলো। কিন্তু ইবাদ শেখ শ্বশুর বাড়িতে অবস্থান করায় তারা আসতে পারছিলো না।
[৪] জিজ্ঞাসাবাদে আমেনা বেগম জানায়, প্রায় ১৩/১৪ বছর আগে তাদের বিয়ে হয়। তাদের ২টি ছেলে ও একটি মেয়ে আছে। ইবাদ শেখ মাদক সেবন ও বিক্রিতে জড়িত ছিলো। বিয়ের পর থেকে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া বিবাদ লেগে থাকতো। এক বছর আগে ইবাদ শেখ মাদক মামলায় গ্রেপ্তার হলে আমেনা তিন সন্তানসহ আমতলায় বাবার বাড়ি চলে যায়। ৯ মে রাতে ইবাদের মোবাইলে স্ত্রী আমেনা ফোন করলে ইবাদ শশুর বাড়ীতে চলে যায়। সম্পাদনা: সিরাজুল ইসলাম
আপনার মতামত লিখুন :