এম.আর.মুর্তজা, মাদারীপুর প্রতিনিধি : [২] মাদারীপুর সিভিল সার্জন ডা. শফিকুল ইসলাম জানান, সকালে মাদারীপুর পৌর শহরের ইটেরপুল বাজারের এক মুরগী ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে। তিনি শ্বাস কষ্ট ও হাঁপানিতে ভুগছিলেন। তার কোভিড-১৯ এর পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। রিপোর্ট আসার পর নিশ্চিত হওয়া যাবে তিনি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত কি না।
[৩] এদিকে মাদারীপুরে করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম সুমন (৩৫)। সোমবার রাতে শহরের ডনোভান স্কুল সংলগ্ন শ্বশুর বাড়ীতে থাকা অবস্থায় মারা যান।
[৪] স্থানীয় ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুর শহরের পানিছত্র আলজাবির হাই স্কুল সংলগ্ন আবুল হোসেন আকনের ছেলে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম সুমন কোভিড-১৯ এর উপসর্গ থাকায় কয়েক দিন পূর্বে শহরের ডনোভান স্কুল সংলগ্ন শ্বশুরের বাড়িতে আসেন। সুমন সরকারি সুফিয়া মহিলা কলেজের শিক্ষক খলিলুর রহমান এর জামাত। রোববার সকালে সদর হাসপাতালে এসে কোভিড-১৯ এর টেস্ট দিয়ে যান এবং সোমবার রাতে শ্বশুরের বাড়িতে থাকা অবস্থায় মারা যান।
[৫] সুমন এর শ্বশুর সরকারি সুফিয়া মহিলা কলেজের শিক্ষক খলিলুর রহমান বলেন, গত ২৪ মার্চের পরে সুমন আমার বাসায় চলে আসে। সে থেকে পুরো সময়টা আমার বাসায় ছিরো। সুমন কখন বাসা থেকে বের হতো না। রোববার সকালে সুমনকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে টেস্ট দিয়ে আসি এবং সন্ধ্যার দিকে হাসপাতালে ভর্তি করার জন্য পুনরায় নিয়ে যাই। কিন্তু সে হাসপাতালে ভর্তি হয়নি। বাসায় চলে আসে। রাতে শাসকষ্ট উঠলে সুমনকে হাসপাতালে নেয়ার জন্য বাসায় এ্যাম্বুলেন্স নিয়ে আসি কিন্তু এ্যাম্বুলেন্সে ওঠানোর মত সময় পায়নি। রাত ১০টার দিকে বাসায় মারা যায়।
[৬] মাদারীপুর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ বদরুল আলম মোল্লা বলেন, শহরের পানিছত্র এলাকায় কোভিড-১৯ এর উপসর্গ নিয়ে এক সরকারি কর্মকর্তা মারা গেছে। আমাদের পুলিশ সদস্যরা তার জানাজা নামাজের সময় উপস্থিত ছিল।
[৭] মাদারীপুর সিভিল সার্জন ডা. মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, কোভিড-১৯ এর উপসর্গ নিয়ে এক ব্যক্তি তার শ্বশুর বাড়িতে মারা যাওয়ার কথা শুনেছি। মারা যাওয়া ওই ব্যক্তির পরিবারের কেউ তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসেনি। কেন হাসপাতালে নিয়ে আসেনি তা আমি জানি না। মারা যাওয়া ওই ব্যক্তির করোনা হয়েছিল কি না তা জানার জন্য শরীরের নমুনা ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
[৮] স্বাস্থ্য বিভাগ মতে, জেলায় মোট করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত শনাক্তের সংখ্যা ২১৪ জন। এর মধ্যে তিন জন মৃত্যু হয়েছে। সম্পাদনা : হ্যাপি
আপনার মতামত লিখুন :