শিরোনাম

প্রকাশিত : ০৯ জুন, ২০২০, ১১:২০ দুপুর
আপডেট : ০৯ জুন, ২০২০, ১১:২০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] ঝিনাইদহে সরকারি নির্দেশনা উপেক্ষা করে রাতে খোলা থাকছে হোটেল-রেষ্টুরেন্ট

মাহফুজুর রহমান, ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: [২] কোভিড ১৯ ঠেকাতে সরকারি নির্দেশনা ও স্বাস্থ্যবিধি মানছেনা কালীগঞ্জের হোটের রেষ্টুরেন্ট ব্যবসায়ীরা। তারা সারারাত হোটেল খুলে রেখে করছেন বেচা-কেনা। এতে করোনা সংক্রমনের ঝুঁকি বেড়েই চলেছে। জনগনকে নিরাপদ রাখতে সরকারের নেওয়া উদ্দ্যোগটি এভাবেই ভেস্তে যেতে বসেছে। সচেতন মহলের অভিমত সাধারণ জনগন সচেতন হয়ে সরকারী নির্দেশনা মানলে মরণঘাতী করোনাকে জয় করা সম্ভব।

[৩] কালীগঞ্জ শহরের মেইন বাসষ্টান্ডের ধানসিঁড়ি হোটেল, ধানসিঁড়ি হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্টে, মদিনা হোটেল, রায় সুইটস হোটেল খোলা রয়েছে। তারা রিতিমত বেচাকেনা চালিয়ে যাচ্ছে। কোনো কোনো হোটেল মালিকরা এক শাটার বন্ধ করে ও হোটেলের সামনে বসে থাকছে। তারা স্থানীয় ও ঢাকা ফেরত যাত্রীদের হোটেলের ভেতর নিয়ে শাটার বন্ধ করে চালাচ্ছেন খাওয়া দাওয়া ও বেচা কেনা। এসব হোটেলে কর্মরত শ্রমিকদের থাকছেনা কোনো সেফটি প্রোটেকশন। ঢাকা থেকে বা দেশের দূরদুরান্ত জেলা থেকে আগত অনেকেই রাতে এই হোটেলে খাবার খেয়ে থাকেন। যেখানে দূরের জেলা থেকে কেউ আসলে তাকে ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার কথা। সেখানে ওই হোটেল ব্যবসায়ীদের কারনে করোনা সংক্রমনের ঝুকি বেড়েই চলেছে।

[৪] এছাড়াও শহরের বিভিন্ন সড়কে পাড়া মহল্লায় সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে দোকানপাট খোলা রাখার সরকারি আদেশ থাকলেও তা মানছে না অনেকে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে তারা তাদের মতো করেই চলছে। সন্ধ্যার পর চায়ের দোকানে, পানের দোকানে, পাড়ার অলিগলি ও সড়কে চলছে আড্ডা। মানছে না সামাজিক কিংবা শারীরিক দূরত্ব। এতে করে করোনা সংক্রমণ আতংকে দিন কাটাচ্ছেন এলাকার সচেতন জনসাধারণ।

[৫] সরকারের আদেশ পালনে জনগনকে সুস্থ ও নিরাপদে রাখতে স্থানীয় প্রশাসন, বাংলাদেশ পুলিশ, সেনাবাহিনীর সদস্যরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কর্তব্য পালন করে যাচ্ছেন। সাধারণ জনগনকে নিরাপদ রাখতে গিয়ে প্রাণ দিতে হচ্ছে তাদেরকে। এসব দেখেও সচেতন তো দূরের কথা অনেকের কাছে তা গল্প কাহিনী আর কফি হাউসের আড্ডায় পরিণত হয়েছে। তাই কোনো সামাজিক বা শারিরীক দূরত্ব বজায় না রেখেই করছেন বেঁচাকেনা ও রাতে থাকছে কিছু কিছু হোটেল খোলা।

[৬] রাতে হোটেল-রেষ্টুরেন্ট খুলে বেচাকেনা চলছে এমন বিষয়ে কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহফুজুর রহমান জানান, হাইওয়ে রোডের পাশে রাতে খাবারের হোটেল খোলা বা বন্ধ রাখার কোনো সরকারি নির্দেশনা পায়নি। নির্দেশনা পেলে ব্যবস্থা গ্রহন করবেন বলে জানান তিনি।

[৭] এ বিষয়ে কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুবর্ণা রানী সাহা জানান, রাতে শহরে খাবারের হোটেল খোলা রাখার কোনো সরকারি নির্দেশনা নাই। রাতে হোটেল খোলা থাকছে কিনা তা তার জানা নেই। তদন্ত করে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান তিনি। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়