শিরোনাম
◈ অবশেষে মার্কিন সিনেটে সাড়ে ৯ হাজার কোটি ডলারের সহায়তা প্যাকেজ পাস ◈ কক্সবাজারে ঈদ স্পেশাল ট্রেন লাইনচ্যুত, রেল চলাচল বন্ধ ◈ ইউক্রেনকে এবার ব্রিটেননের ৬১৭ মিলিয়ন ডলারের সামরিক সহায়তা ◈ থাইল্যান্ডের উদ্দেশ্য রওনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ◈ জিবুতি উপকূলে অভিবাসীবাহী নৌকাডুবিতে ৩৩ জনের মৃত্যু ◈ লোডশেডিং ১০০০ মেগাওয়াট ছাড়িয়েছে, চাপ পড়ছে গ্রামে ◈ এফডিসিতে মারামারির ঘটনায় ডিপজল-মিশার দুঃখ প্রকাশ ◈ প্রথম ৯ মাসে রাজস্ব আয়ে ১৫.২৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন ◈ প্রথম ধাপে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সাত চেয়ারম্যানসহ ২৬ জন নির্বাচিত ◈ বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগ আহ্বান রাষ্ট্রপতির

প্রকাশিত : ০৯ জুন, ২০২০, ০৭:৩২ সকাল
আপডেট : ০৯ জুন, ২০২০, ০৭:৩২ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আমিনুল ইসলাম : ডা. ফেরদৌস বাংলাদেশে এসেছেন মানুষকে চিকিৎসা সেবা দিতে, আমাদের তা ভালো লাগবে কেন!

আমিনুল ইসলাম : এক ডাক্তার আমেরিকা থেকে বাংলাদেশে এসছেন করোনা চিকিৎসা সেবা দিতে। আমি তাকে চিনি না। জগতের সবাইকে আমার চিনতে হবে, ব্যাপারটা এমনও না। ভদ্রলোক আমেরিকাতেই থাকেন। সেখানেই ডাক্তারি করছিলেন। নিজ দেশের মানুষের সেবা দেয়ার জন্য এই করোনা পরিস্থিতে’ই তিনি বাংলাদেশে এসছেন। তো, আমাদের সেটা ভালো লাগবে কেন! একদল লোক এর মাঝেই রটিয়ে দিয়েছে- এই ডাক্তার হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর খুনি মোশতাকের ভাগ্নে। এরপর এয়ারপোর্টে তাকে হয়রানি করা হয়েছে। আজ অবদি দেখতে পাচ্ছি মানুষজন তাকে নিয়ে নানান সব কথা লিখে বেড়াচ্ছে। জানতে পারলাম- এই ডাক্তার খুনি মোশতাকের ভাগ্নে না। এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে- সে যদি খুনি মোশতাকের ভাগ্নেও হতো, তাতে সমস্যার কি ছিল? তিনি নিজে কি খুন করেছে? তিনি কি স্বাধীন বাংলাদেশের বিরোধিতা করেছেন? তার নামে কি বাংলাদেশে কোনো মামলা আছে? কোথাও কি লেখা আছে- সে বাংলাদেশে চিকিৎসা সেবা দিতে পারবেন না? তাহলে আপনাদের সমস্যাটা কোথায়? কেন আপনারা এই লোকের পেছনে লাগলেন? পা চাটতে চাটতে আপনাদের অবস্থা এমন হয়ে গিয়েছে, এখন আর পা চেটে ভালো লাগছে না। অন্য কিছুর দরকার পড়ছে।

 

ধরে নিলাম তিনি লোক দেখানো চিকিৎসা সেবা দিতে এসেছেন। এতে ক্ষতি কী? এই বিষয়ে আমি সব সময়ে হুমায়ূন আহমেদের কোথাও কেউ নেই উপন্যাসের কথা লিখে এসছি। হুমায়ূন স্যারের সাথে এক সপ্তাহ কাটানোর সৌভাগ্য আমার হয়েছিলো। মানুষটার চিন্তার গভীরতা বলে শেষ করা যাবে না। কোথাও কেউ নেই উপন্যাসে বাকের ভাইকে ধরে নিয়ে গিয়েছে পুলিশ। কেউ তাকে ছাড়িয়ে আনতে যাচ্ছে না। পাড়ার মেয়ে মুনা শেষমেশ বাকের ভাই’র বড় ভাইয়ের বাসায় হাজির হয়েছে। ওই বড় ভাই বড় সরকারি কর্তা। মুনা তার বড় ভাইকে বলছে। -আপনি বাকের ভাইকে ছাড়িয়ে আনতে যাচ্ছেন না কেন? -ও একটা বখাটে ছেলে। ওর জেলে থাকাই ভালো। -কিন্তু তিনি তো অনেক মানুষের উপকারও করেছেন। আমার নিজের পরিবারের অনেক উপকারও তো তিনি করেছেন। -এই সব লোক দেখানো উপকার। এরপর মুনা বলেছে, -সেই লোক দেখানো উপকারটা’ই বা কয় জন করছে? আপনি করবেন? লোক দেখানো উপকারে যদি কারো জীবন বেঁচে যায়, তো ক্ষতি কি? অন্য যে কোন বাংলাদেশি হলে ভাবত- ধ্যাত, এর সাথে কথা না বলাই ভালো। কিংবা এড়িয়ে যাওয়ায়’ই ভালো।

 

অথচ আমি উল্টো তাকে ভালবাসতে শুরু করেছি। প্রশ্ন করুন। সমস্যা নেই। কিন্তু প্রশ্ন গুলো গঠন মূলক হতে হবে। শুধু শুধু অন্যকে ছোট করার জন্য প্রশ্ন করার তো প্রয়োজন নেই। এই যে আমি উপরে এতো গুলো প্রশ্ন করলাম; এর উত্তর তো নিশ্চয় আপনাদের জানা আছে। তাহলে কেন আপনারা এই ডাক্তারকে বাংলাদেশে আসতে না আসতে’ই এই ভাবে হয়রানি করছেন? মানুষটা তো দেশের মানুষের চিকিৎসা সেবা দিতেই এসছে। হোক না সেটা লোক-দেখানো। সেই লোক দেখানো উপকারটাই বা কয়জন করছে! আপনি নিজে কি করছেন? এতে যদি একজন মানুষের জীবন বেঁচে যায়, তো ক্ষতি কী। ঈষৎ সংক্ষেপিত। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়