শিরোনাম
◈ গাজায় নিহতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ছাড়াল ◈ পাগলা মসজিদের দানবাক্সে এবার ২৭ বস্তা টাকা, গণনা চলছে ◈ তীব্র তাপপ্রবাহ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আরও ৭ দিন বন্ধের দাবি ◈ সাতক্ষীরায় এমপি দোলনের গাড়িতে হামলা ◈ চুয়াডাঙ্গার পরিস্থিতি এখন মরুভূমির মতো, তাপমাত্রা ৪১ দশমিক  ৫ ডিগ্রি ◈ ফরিদপুরে পঞ্চপল্লীতে গণপিটুনিতে ২ ভাই নিহতের ঘটনায় গ্রেপ্তার ১ ◈ মিয়ানমারের ২৮৫ জন সেনা ফেরত যাবে, ফিরবে ১৫০ জন বাংলাদেশি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গড়ার কাজ শুরু করেছেন প্রধানমন্ত্রী: ওয়াশিংটনে অর্থমন্ত্রী ◈ দাম বেড়েছে আলু, ডিম, আদা ও রসুনের, কমেছে মুরগির  ◈ প্রার্থী নির্যাতনের বিষয়ে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে, হস্তক্ষেপ করবো না: পলক

প্রকাশিত : ০৯ জুন, ২০২০, ০৭:২৭ সকাল
আপডেট : ০৯ জুন, ২০২০, ০৭:২৭ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

দর্পণ কবীর : ডাক্তার ফেরদৌসকে কারা ‘দেবদূত’ বানাতে চান এবং কেন?

দর্পণ কবীর : নিউইয়র্কে ওই সকল চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীরাই ‘দেবদূত’ বা ‘সুপার হিরো’, যারা হাসপাতালে নিরন্তর করোনা রোগীদের পাশে ছিলেন এবং চিকিৎসা সেবা দিয়েছেন। যে সকল চিকিৎসক নিজ চেম্বার থেকে (টেলিফোনে) রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিয়েছেন, তারা দেবদূত বা সুপার হিরো হতে পারেন না। তারা তো ঝুঁকির মধ্যে ছিলেন না। এটা সহজ এক সমীকরণ। অথচ পোষ্য কতিপয় সাংবাদিক চিকিৎসক ফেরদৌস খন্দকারকে ‘দেবদূত’ ‘সুপার হিরো’সহ আরো কিছু অতিরঞ্জিত বিশেষণ দিয়ে সংবাদ প্রচার করেছেন। নিউইয়র্ক থেকে যারা এ ধরনের প্রতিবেদন তৈরি করেছেন, তারা আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছেন, আবার কেউ কেউ না বুঝে তাল মিলিয়ে রিপোর্ট করেছেন। এ কথা বলার অন্যতম কারণ-ডাক্তার ফেরদৌস খন্দকার করোনাকালে কোনো হাসপাতালেই প্র্যাকটিস করেননি বা কোনো হাসপাতালে ডিউটি করেননি। তাহলে করোনা রোগীদের সান্নিধ্যে না গিয়ে কী কারণে তিনি ‘দেবদূত’ বা ‘সুপার হিরো’ হবেন? গুটি কয়েকজনের বাসায় গিয়ে প্রেসক্রিপশন দিয়েই দেবদূত হয়ে যাবেন? কতোজন রোগীকে দেখেছেন তিনি? এই তথ্য পোষ্য সাংবাদিকরা উল্লেখ করেননি। বলতে হচ্ছে-অর্ধ শতাধিক বাংলাদেশি চিকিৎসক হাসপাতালে করোনা রোগীদের চিকিৎসা করেছেন। তাদের মধ্যে কেউ কেউ এই ভাইরাসে আক্রান্তও হয়েছেন। তারা কিন্তু প্রচারণা করেননি। আসলে তারাই দেবদূত বা সুপার হিরো। আমার প্রশ্ন-কারা ডাক্তার ফেরদৌসকে দেবদূত বানাতে চান এবং কেন?

 

দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার অনলাইনে প্রকাশিত একটি রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে-নিউইয়র্কে করোনা’র ভয়ে যখন অপরাপর চিকিৎসকরা চেম্বার বন্ধ করে ঘরে থেকেছেন, তখন ডা. ফেরদৌস খন্দকার বাড়ি বাড়ি গিয়ে সেবা করেছেন। ডাহা মিথ্যাচার এটি। নিউইয়র্কের জরুরি অবস্থার নিয়ম ও সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী কোনো চিকিৎসক নিজ চেম্বারে রোগী দেখতে পারতেন না। তারা শুধু টেলিফোনে চিকিৎসা সেবা দিতে পারতেন। অপরাপর চিকিৎসরা সেটাই করেছেন। তারপরও অনেক চিকিৎসক নিজের চেম্বার খোলা রেখেছেন।

 

এবার আসছি তার রাজনৈতিক জীবন ও খন্দকার মুশতাকের আত্মীয়তা প্রসঙ্গে। ডা. ফেরদৌস খন্দকার বর্তমানে বাংলাদেশে অবস্থান করছেন। বিমানবন্দরে নেমেই তিনি আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর নজরদারিতে পড়েন। কেন? এর কারণ, উল্লেখ করে একটি স্ট্যাটাজ দিয়েছেন প্রবীণ সাংবাদিক ও পিআইবির মহা-পরিচালক জাফর ওয়াজেদ। তিনি লিখেছেন- সে (ডাক্তার ফেরদৌস খন্দকার) যুক্তরাষ্ট্র ২০ হাজার ডলার দিয়ে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা হয়েছিলো, সবার বিরোধিতার মুখে তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে,সজীব ওয়াজেদ জয়কে হত্যা পরিকল্পনার বা ষড়যন্ত্রের সাথে জড়িত এফবিআই যাদের গ্রেফতার করেছিল তার সাথেও ফেরদৌস আলমের সখ্য রয়েছে।

 

এই তথ্য সঠিক বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের একজন নেতা। তিনি জানান, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ডক্টর সিদ্দিকুর রহমান ডাক্তার ফেরদৌস খন্দকারকে সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা বানালে তোপের মুখে পড়েন। পরে হাইকমা-ের নির্দেশে তাকে বাদও দেন। একটি সূত্র জানিয়েছে-ডাক্তার ফেরদৌস খন্দকার যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের নেতার কাছে স্বীকার করেছেন, তিনি একজন জামায়াত নেতার সঙ্গে দীর্ঘদিন ব্যবসা করেছেন। জানা যায়-ডাক্তার ফেরদৌস খন্দকারের ব্যবসায়িক পার্টনারের নাম আতাউল ওসমানী। সে ছিলো চট্টগ্রাম মেডিকেলের জামায়াতের সেক্রেটারি। বর্তমানে নর্থ আমেরিকার মুসলিম উম্মা সংক্ষপে ইকনা’র কালচারাল ডিরেক্টর। ২০১৯ বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন অব আমেরিকার নির্বাচনে ডা. ফেরদৌস বিএনপি- জামায়াতের প্যানেলের ছিলেন অর্থ যোগান দাতা ছিলেন বলে অভিযোগ করছে তার বিরোধীরা। কারণ, ওই নির্বাচনে ব্যবসায়ীক বন্ধু আতাউল ওসমানীর পক্ষে নির্বাচনী সভাও করেছেন। এ ছাড়া ২০১৯ সালে পর্যন্ত ডা. ফেরদৌসকে জাতির পিতার জন্মদিন, মৃতুবার্ষিকী, ১৬ ডিসেম্বর বা ২৬ মার্চের কোনো অনুষ্ঠানে কোনদিন দেখা যায়নি। তবে ছাত্রাবস্থায় তিনি চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেছে ছাত্রলীগের রাজনীতি করতেন। নিউইয়র্কে এসে জামায়াত নেতাদের সঙ্গে তার সখ্যতা বা ব্যবসার বিষয়টি আলোচনায় চলে এসেছে। তিনি খন্দকার মোশতাকের ভাতিজা বা ভাগিনা-এমন কথার সত্যতা পাওয়া যায়নি। ডা. ফেরদৌস খন্দকারের ইউটিউবে করোনা বিষয়ক প্রচরণা ছিল প্রশংসনীয়। কিন্তু অহেতুক ‘বীরত্ব’ অর্জনের প্রচেষ্টা তার ভালো কর্মকা- আড়ালে ঢাকা পড়ে যাচ্ছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়