শাহীন খন্দকার : [২] আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ফরিদ আহম্মেদ জানালেন, “বিভিন্ন রোগ সারাতে যেমন উষাপানের ভূমিকা আছে, আবার পানির স্বাদ-গন্ধ বাড়ানোর পাশাপাশি কিছু বিশেষ পুষ্টি যোগানোর ক্ষেত্রেও কয়েক ধরনের ভেষজ-জল বিশেষ ভাবে কার্যকর।
[৩] ঠিক পদ্ধতিতে বানিয়ে ঠিক সময়ে খেলে সুস্বাস্থ্যের পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতারও উন্নতি হয়।এক চামচ ত্রিফলা অর্থাৎ শুকনো আমলকি, হরিতকি ও বহেরা নামে তিনটি ফলের চূর্ণ এক গ্যাস পানিতে সারা রাত ভিজিয়ে সকালে খালি পেটে খেলে পেট পরিষ্কার হয়। অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট গুণের জন্য এই মিশ্রণ প্রদাহ কম রাখে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, ফ্লু ঠেকাতে কাজে আসে। উষ্ণ জলে গুলে খেলে গলা ব্যথার প্রকোপ কমে। এর সঙ্গে এক চিমটি দারুচিনির গুঁড়ো ও এক চামচ মধু মিশিয়ে খেলে স্বাদ-গন্ধের যেমন উন্নতি হয়, ভারী হয় উপকারের পাল্লাও।
[৪] এক চামচ মেথি শুকনো কড়াইয়ে ভেজে, গুঁড়ো করে এক গ্ল্যাস পানি মিশিয়ে সকালে খালি পেটে খেলে ডায়াবেটিকস ও ক্ষতিকর কোলেস্টেরল, এলডিএল-এর প্রকোপ কমে। প্রদাহ কমে বলে বাড়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। হজমও ভাল হয়। মৌরির পানি বানাতে পারেন দু-’ভাবে। হয় এক গ্ল্যাস পানি এক চামচ মৌড়ি সারা রাত ভিজিয়ে রেখে সকালে ছেঁকে খান।
[৫] নয়তো এক গ্ল্যাস পানি ফুটিয়ে তাতে এক চামচ মৌরি দিয়ে ঢাকা দিয়ে রাখুন ২-৩ মিনিট। তারপর ছেঁকে চায়ের মতো খান। স্বাদ ও গুণ বাড়াতে অল্প লেবুর রস ও এক চামচ মধু মিশিয়ে নিতে পারেন। ঠান্ডা করেও খেতে পারেন। সুগন্ধী এই জল খেলে নিমেষে তরতাজা লাগে। পেট ফাঁপা, গ্যাস, বদহজমের উপসর্গ কমে কিছুটা। শরীরে জমা জল বেরনোর সুরাহা হয়। উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিকস প্রকোপও কম থাকে।
[৬] গরম জলে ১০ মিনিট ভিজিয়ে রেখে বানান ধনিয়াগুড়ার পানি। হজমের যেমন উপকার হবে, কম থাকবে প্রদাহের প্রকোপ। বাড়বে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। ১ চা চামচ সাদা জিরে, দেড় কাপ পানি, আধ চা চামচ মধু নিন। কড়াইতে জিরে হালকা করে ভেজে দেড় কাপ জল দিয়ে ৩-৪ মিনিট ফোটান। ঠান্ডা হলে ছেঁকে জলটা খেয়ে নিন। এতে ওজন যেমন কমবে, হজম শক্তিও বাড়বে।
আপনার মতামত লিখুন :