সমীরণ রায়: [২] বাংলাদেশ অটোরিক্সা হালকাযান পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি আবুল হোসাইন ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ গোলাম ফারুক এক যুক্ত বিবৃতিতে আরও বলেন, পরিবহন শ্রমিকরা যাত্রীর সেবক। এ সব পরিবহন শ্রমিকরা তাদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দিন রাত সেবা দিয়ে আসছে। মহামারী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি/সম্ভাবনা নিয়ে তারা এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে যাত্রী সেবায় নিয়োজিত রয়েছে। তাদের নেই কোনো ব্যক্তিগত সুরক্ষা। নেই ঝুঁকি ভাতার ব্যবস্থা।
[৩] তারা বলেন, ফেডারেশনের পক্ষ থেকে গত ৯ এপ্রিল মানববন্ধন ও গত ৩ জুন সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ইতিমধ্যে ঘোষণা করেছেন এই মহামারী করোনা মোকাবেলায় যারা মানুষের সেবায় নিয়োজিত থাকবে তাদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ও ঝুঁকি ভাতার ব্যবস্থা থাকবে। আমরা লক্ষ করছি যে, অন্যান্যদের জন্য ব্যবস্থা থাকলেও পরিবহন শ্রমিকদের ব্যক্তিগত সুরক্ষা বা ঝুঁকিভাতার কোনো কথা বলা হয়নি। শ্রমিকগণ ব্যক্তিগত সুরক্ষা ছাড়া গাড়ী চালানোর ফলে কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হলে তার দায়ভার সরকারকে বহন করতে হবে।
[৪] তারা আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী প্রণোদনা প্যাকেজের কথা ঘোষণা করেছিলেন এবং ত্রাণ মন্ত্রণালয় ২৯ মার্চ প্রজ্ঞাপণের মাধ্যমে পরিবহন চালকদের প্রণোদনার কথা বলা হয়েছে। যার ফলে চালকরা নির্দেশ মোতাবকে স্ব স্ব জেলায় প্রশাসকের অফিসে লাইসেন্স নাম্বারসহ তালিকা জমা দিয়েছিল। দেশে ৭ লাখ পরিবহন এবং ১০ লাখ চালক রয়েছে। কিন্তু প্রণোদনার বিষয়ে কোনো ইতিবাচক সাড়া চালকরা পায়নি। ফলে তারা হতাশার মধ্যে আছে।
[৫] সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক যুক্ত বিবৃতিতে তারা এসব কথা বলেন।
আপনার মতামত লিখুন :